প্রত্যেক মানুষই শান্তি চান। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিধি বাম হয় অর্থাৎ শান্তি ভঙ্গ হয়। শত্রুতা বা গোপন শত্রু কখনও কখনও মানুষের শান্তি ভঙ্গ করে, বিশেষত বর্তমান প্রতিযোগিতার সময়ে। শত্রু দ্বারা পীড়িত হওয়ার কোনও বয়স নেই, তা ছাত্র অবস্থায় হোক বা কর্মরত অবস্থায় বা অবসর জীবনে।
শত্রু দ্বারা পীড়িত হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকলেও জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ষষ্ঠ ঘর বা ষষ্ঠ ভাব থেকে প্রধানত শত্রু বিচার করা হয়। এ ছাড়াও লগ্ন এবং অষ্টম ভাবকে কিছু সময় বিচার করার প্রয়োজন হয়। ষষ্ঠ ঘর বা ষষ্ঠ ভাব সম্বন্ধে একটু বলা প্রয়োজন। ষষ্ঠ ভাব বা ষষ্ঠ ঘর থেকে দুর্ঘটনা, রোগ, মানসিক অশান্তি, দুর্ভাগ্য, ঋণ ইত্যাদি দেখা হয়। এক কথায় এটি শত্রুর ঘর। কারণ উল্লেখিত সমস্ত বিষয়কে আমরা শত্রু হিসাবে দেখি।
ষষ্ঠ রাশির অধিপতি যখন অশুভ গ্রহ এবং লগ্নাধিপতি ষষ্ঠে অবস্থান করেন এবং ষষ্ঠ রাশির অধিপতি লগ্নে অবস্থান করলে শত্রু পীড়া যোগ সৃষ্টি হয়। একটু ভাল ভাবে বললে ষষ্ঠ রাশির অধিপতি অশুভ গ্রহ এবং ষষ্ঠ রাশি অধিপতি লগ্নে অবস্থান অর্থাৎ লগ্নে অশুভ গ্রহের অবস্থান।
আরও পড়ুন: সহজে গুপ্ত শত্রু চেনার উপায় জেনে নিন
জন্মকুণ্ডলীতে এই ধরনের যোগ থাকার অর্থ জাতক বা জাতিকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে শত্রু দ্বারা পীড়িত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় (অবশ্য অন্যান্য গ্রহের অবস্থান দৃষ্টি সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল)।
শত্রু দ্বারা পীড়িত হওয়ার অর্থ শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত তা কিন্তু নয়। দুর্ঘটনা, রোগ, মানসিক অশান্তি, ঋণ এমনকি প্রতিযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাস্ত হওয়াও শত্রু দ্বারা পীড়িত হওয়া বোঝানো হয়।
শত্রু দ্বারা পীড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে নির্দিষ্ট দশা অন্তর্দশা কালে। যদি এই ধরনের যোগ গোচর কালে সৃষ্টি হয় তবে শত্রু দ্বারা ভোগান্তি বা পীড়িত হওয়ার আশঙ্কা কেবলমাত্র গোচর কালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।