বাংলায় একটি কথা প্রচলিত রয়েছে– কিসের বার, কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত অম্বুবাচী। আষাঢ়ের সাত তারিখ থেকে শুরু হয় অম্বুবাচী। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্য যে বারে যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, ঠিক তাঁর পরবর্তী বারের সেই কালে পালিত হয় অম্বুবাচী। এই সময়ে কিছু নিয়ম রয়েছে, যা পালন করলে খুব ভাল ফল মেলে এবং কিছু নিয়ম রয়েছে যা এই সময়ে একেবারেই করতে নেই। কিছু কাজ রয়েছে যা এই সময়ে করতে শাস্ত্রে নিষেধ করা হয়েছে।
অম্বুবাচীতে কোন কাজে করলে শুভ ফল মেলে—
১) যত বেশি সম্ভব এই সময়ে ইষ্ট মন্ত্র জপ করুন।
২) এই সময়ে গুরুদেবের পুজো করা যাবে। যাঁদের গুরু মহিলা অর্থাৎ গুরুমা তাঁরাও এই সময়ে পুজো করতে পারেন।
আরও পড়ুন: অম্বুবাচীর সময়সূচি ও ব্রতের নিয়ম
৩) এই সময় দেবীর মুর্তি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৪) অম্বুবাচী চলাকালীন আম, দুধ সেবন করুন, এতে সাপের ভয় দূর হয়।
অম্বুবাচীতে কী কী করা নিষিদ্ধ—
১) অম্বুবাচীর তিন দিন কোনও মাঙ্গলিক কাজ করা যাবে না। যেমন বিবাহ, পুজো, গৃহপ্রবেশ প্রভৃতি।
২) অম্বুবাচীতে বৃক্ষরোপণ ও ভূমিকর্ষণ করা নিষিদ্ধ।
৩) এই সময়ে মন্ত্র সহকারে পুজো না করাই ভাল। কেবল ধূপ-দীপ সহকারে ঠাকুর প্রণাম করবেন।
৪) এই সময়ে চাষ করতে নেই।
৫) বাড়ি বা জমি ক্রয় করতে নেই।
৬) এই সময় কোনও ভাবেই সাপকে আঘাত করতে নেই।
৭) বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোথাও যাওয়াও উচিত নয়।