প্রতীকী চিত্র।
সকলেই সন্তানসুখে সুখী হতে চান। কিন্তু সকলে সন্তানসুখে সুখী হন না। সন্তানসুখ থেকে বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিতও হন অনেকে। কখনও সন্তানহীনতা, কখনও বা সন্তান বিপথগামী হন। সন্তান বিভিন্ন ভাবে অসামাজিক কর্মে লিপ্ত, বাবামায়ের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধাশীল না হওয়া বা বাবামায়ের অবাধ্য ইত্যাদিও সন্তান সুখের হানির কারণ হতে পারে। এই সমস্ত ফলের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ পিতৃদোষ (বিশেষত সন্তানহীনতার ক্ষেত্রে)। সন্তান সুকর্ম দ্বারা বাবামায়ের নাম উজ্জ্বল করে বা গৌরবান্বিত করে। মৃত্যুর পর বিভিন্ন কর্ম দ্বারা বাবামায়ের প্রতি আত্মার সতগতির চেষ্টা করে পূর্বপুরুষের মুক্তি দান করে।
পিতৃদোষ কী– পূর্বজন্মে পিতা বা পিতৃতুল্য ব্যক্তির অভিশাপ হল পিতৃদোষ। পিতৃদোষ কেবলমাত্র পূর্বজন্মেরই হবে তা নয়, পূর্ববর্তী কয়েক জন্মের দোষও হতে পারে। পিতৃদোষ সাধারণত পঞ্চম স্থানে অশুভ ফল দান করে থাকে। পঞ্চম স্থান সন্তানসুখ সংক্রান্ত ফল দান করে। সুতরাং পিতৃদোষ প্রধানত সন্তান সংক্রান্ত ক্ষেত্রই অশুভ ফল দান করে থাকে।
জন্মকুণ্ডলীতে পিতৃদোষ কখন নির্দেশিত হয়—
জন্মকুণ্ডলীর পঞ্চম, দশম স্থান কোনও পাপগ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করলে, রবির সঙ্গে কোনও পাপগ্রহের সম্পর্ক হলে (রবি পিতার কারক) পিতৃদোষ নির্দেশ করে। লগ্ন যদি দুর্বল হয় সে ক্ষেত্রে পিতৃদোষ বিশেষ অশুভ ফল দান করে।
জন্মকুণ্ডলীতে পিতৃদোষ নির্দেশ করলে বিয়ের আগে বা পরে পিতৃদোষের প্রতিকার অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রতিকার– তীর্থ স্থানে (গয়া, ইলাহাবাদ, হরিদ্বার ইত্যাদি) বিশেষত যে জায়গায় শ্রাদ্ধ কর্ম বিশেষ শুভ ফল দান করে ওই রূপ স্থানে পিতৃপুরুষ এবং মাতৃপুরুষের উদ্দেশে শ্রাদ্ধকর্ম করা।
দান সহ ব্রাহ্মণ ভোজন, বিশেষ শুভ অমবস্যা তিথিতে।
বিয়ে দেওয়া বা বিয়েতে অর্থ দান করা। ব্রাহ্মণ বা মন্দিরে শুদ্ধ মনে গো-দান করা বা সম পরিমাণ অর্থ দান করা।
বাবা, মা এবং পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া, কর্তব্য পালন করা এবং যথাযথ সম্মান দেওয়া।
জন্মকুণ্ডলীতে পিতৃদোষ নির্দেশ করলে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ জরুরী।