(১) ভাগ্যরেখা থেকে মূলত কেরিয়ার সম্বন্ধে খোঁজখবর পেয়ে থাকি। ভাগ্যরেখায় একাধিক স্থানে গ্যাপ বা ছেদ যে জাতকের করতলে ওই বয়সে থাকবে তার কর্মচ্যুতি ঘটতে পারে। এই কর্মচ্যুতিতে তার কোনও হাত থাকবে না, বাইরের বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এই কর্মচ্যুতি ঘটবে। যেমন মিল মালিক ঘোষণা করে কিছু লোক ছাঁটাই করল, তার মধ্যে এই জাতক পড়ে গেল।
(২) গ্যাপ বা ছেদ যত বড় হবে তত বেশি সময় ধরে বেকার থাকতে হবে, কর্ম লাভ হবে না, আর্থিককষ্ট ভোগ করতে হবে। আর যদি গ্যাপ ছোট থাকে তবে অল্প সময় বেকার থাকার পর আবার কর্মলাভ হবে। সব ক্ষেত্রেই দেখতে হবে, গ্যাপের পরবর্তী অংশে ভাগ্যরেখাটা শক্তিশালী আছে না দুর্বল বা ফেইন্ট লাইন হয়ে গিয়েছে? রেখা যদি সবল থাকে তবে পুনরায় কর্মলাভ হবে। আর দুর্বল হলে বাকি জীবন বেকার থাকতে হবে।
(৩) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কর্মসংক্রান্ত ঘটনাগুলি ভাগ্যরেখার নীচের দিকে মানে শিরোরেখার নীচের দিকেই ঘটে, মানে ৩৫ বৎসরের আগের দিকেই ঘটে থাকে। আবার শিরোরেখা ও হৃদয়রেখার মাঝে ৩৫ থেকে ৬০ বৎসরের মধ্যেও ঘটে।
আরও পড়ুন:হাতের প্রধান রেখাগুলি ভগ্ন ও ছেদ থাকলে কী হয় (প্রথম অংশ)
(৪) এই ছেদ বা ভগ্ন অংশ থেকে আরও বোঝায়, যেমন, ফিজিক্যাল ইনজুরি, পেটে প্রচন্ড কোনও যন্ত্রণা বা অস্ত্রোপচার, কোনও মোটরসাইকেল বা গাড়ি দুর্ঘটনা, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট, বাইপাস সার্জারি, দীর্ঘকাল বিছানায় পড়ে থাকা কোনও রোগের কারণে, মিলে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে বিশ্রাম নেওয়া বোঝায়, ব্যবসা করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি বা ডিভোর্সের কারণে বিরাট টাকা স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া বা শরণার্থী হয়ে এক দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্য দেশে যাওয়া ইত্যাদি।
(৫) আবার ভাগ্যরেখা যদি ভগ্ন হয়ে থাকে, ওভারল্যাপিংয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার চেঞ্জ যেটা হয় তা হয়ে থাকে পরিকল্পনামাফিক। অর্থাৎ একটা কাজ ছেড়ে অন্য অপেক্ষাকৃত আরও ভাল কাজ ধরা বোঝায়। এই চেঞ্জ বা পরিবর্তনগুলি এমনই হয়ে থাকে যা আগে থেকে ভাবাই যায়নি।