আপনার হাতের রেখাই বলে দেবে আপনি কার দ্বারা চালিত হন। প্রতীকী ছবি।
আমাদের জীবনে হাতের রেখা, হাতের রঙের যেমন ভূমিকা আছে, তেমন হাতের গঠনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাতের গঠন অনুযায়ী প্রত্যেকের হাত তিনটি পৃথক জগতে বিভক্ত।
হাতের উপরের (আঙুলের) অংশ মানসিক জগত। অর্থাৎ, উপরের অংশ দেখে মানসিক জগৎ বিচার করা হয়। ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা বা মানসিকতার বিচার করা হয়।
যদি হাতের আঙুলের অংশটি দৈর্ঘ্যে বড় হয়, অর্থাৎ মানসিক জগৎ বড় হয়, তবে ব্যক্তির উপর মানসিক জগতের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, ওই ব্যক্তি তাঁর নিজের মন দ্বারা বিশেষ ভাবে চালিত।
হাতের তালুর মধ্যম অংশ ব্যবহারিক জগৎ। অর্থাৎ, মধ্যম অংশ দেখে ব্যবহারিক বা বাস্তব জগৎ বিচার করা হয়। ব্যবহারিক জগতের মাধ্যমে ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনের আচার-আচারণ, বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে জানতে পারা যায়।
ব্যবহারিক জগৎ যদি বিশেষ ভাবে পরিপুষ্ট হয়, তবে ওই ব্যক্তি ব্যবহারিক দৃষ্টিভঙ্গি বা বাস্তবজ্ঞান দ্বারা বিশেষ ভাবে চালিত হন। অর্থাৎ, ওই ব্যক্তির বাস্তববাদী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হাতের তালুর নিম্ন অংশ দেখে জড় জগতের বিচার করা হয়। জড় জগতের মাধ্যমে ব্যক্তির জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে জানা যায়।
হাতের তালুর নিম্নাংশ (জড় জগৎ) যদি বিশেষ পরিপুষ্ট হয়, তবে ওই ব্যক্তি জৈবিক তাড়না দ্বারা বিশেষ ভাবে চালিত হন। ওই ব্যক্তির জীবনে মনের এবং বাস্তবজ্ঞানের ভূমিকা খুবই কম।
যাদের হাতে মানসিক জগৎ বিশেষ পুষ্ট তাঁরা অধ্যয়ন, অধ্যাপনা, গবেষণা প্রভৃতি মানসিক বৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকবেন। হাতে যদি ব্যবহারিক জগৎ অপুষ্ট পরিলক্ষিত হয়, তবে মানসিক দিক থেকে ওই ব্যক্তি বিশেষ বিকাশপ্রাপ্ত হলেও তার মধ্যে বাস্তববোধের অভাব অবশ্যই লক্ষ্য করা যাবে।
যাঁদের হাতের রেখায় ব্যবহারিক জগৎ বিশেষ পুষ্ট ব্যবহারিক জীবনের ক্ষেত্রে তাঁরা সাফল্য পাবেন। আর্থিক দিক থেকে তাঁরা সচারচর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকেন। উচ্চাশা, সৌন্দর্যবোধ, শিল্পজ্ঞান, বিচক্ষণতা ইতাদি পরিলক্ষিত হয়। যাঁদের হাতে ব্যবহারিক জগৎ অধিক পরিপুষ্ট, তাঁদের পক্ষে ব্যবহারিক সাফল্য লাভ করা নিশ্চয়ই সম্ভব।
যদি কারও হাতে কেবল নিম্ন জগৎ পরিপুষ্ট হয়, তবে সেই ব্যক্তি তাঁর জৈবিক তাড়না দ্বারা বিশেষ ভাবে চালিত হবেন। জৈবিক তাড়না নিবৃত্তি করাই তাঁর কাছে একমাত্র সত্য। এ ধরনের লোকের আচার ও আচরণে মার্জিত রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যাবে না।