সংসারে সুখ-সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঠাকুরঘরের প্রবেশদ্বার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরবাড়ি বানানোর সময়ে প্রথমেই বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কিছু নিয়ম মানা হয়। যেহেতু ঠাকুরঘর আমাদের বাড়ির সবচেয়ে পবিত্র স্থান, তাই সেখানেও কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। বাস্তুমতে ঠাকুরঘর যদি সুন্দর করে সাজানো যায়, তা হলে বাড়ি থেকে অনেক অশুভ শক্তি দূর হবে। ফলে বাড়িতে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে এবং সংসারে উন্নতি ঘটবে।
কোন কোন নিয়ম মেনে ঠাকুরঘর সাজানো উচিত?
১) ঠাকুরঘরে প্রদীপ রাখার নিয়ম- ঠাকুরঘরে প্রদীপের মুখ সব সময়ে পূর্ব বা দক্ষিণ দিক করে রাখতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে প্রদীপ যেন কোনও মতেই মাটিতে না রাখা হয়।
২) ঠাকুরঘরের প্রবেশদ্বার- সংসারে সুখ-সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঠাকুরঘরের প্রবেশদ্বার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে করা হয়, সেখান দিয়েই শুভশক্তি গৃহে প্রবেশ করে। তাই খেয়াল রাখতে হবে প্রবেশদ্বার দিয়ে যেন খুব ভাল ভাবে সূর্যের আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া, ঠাকুরঘরের দরজা যেন লোহার তৈরি না হয়। এবং ঠাকুর ঘরের দরজা যেন আপনাআপনি বন্ধ না হয়ে যায়। আপনি যদি নিজে বন্ধ করেন, তবেই যেন দরজা বন্ধ হয়।
৩) দেব-দেবীর ছবি বা মূর্তি- আমাদের ঠাকুর ঘরে যে সকল ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি রাখা হয়, মনে রাখতে হবে, তা যেন ২ ইঞ্চি থেকে ৯ ইঞ্ছির মধ্যে থাকে। তা না হলে বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। এমনকি, দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এ ছাড়া নজর রাখতে হবে ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি যেন উত্তর ও পশ্চিম দিকে না থাকে।
৪) ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি মুখোমুখি না হয়- খেয়াল রাখতে হবে ঠাকুরঘরে কোনও মূর্তি যেন একে অপরের মুখোমুখি না থাকে। এবং একই দেবতার বিভিন্ন রূপে মূর্তিও যেন না থাকে। সেই সঙ্গে আর একটি জিনিসের উপর বিশেষ করে নজর রাখতে হবে, যাতে ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি দেওয়ালে গায়ে না ঠেকে থাকে। ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি সব সময়ে দেওয়াল থেকে একটু দূরে রাখুন।
৫) ঠাকুর ঘরের রং – বাড়ি তৈরির সময়ে আমরা ঘরের রঙের দিকে বিশেষ নজর রাখি। রঙের উপর মানুষের মানসিকতা অনেকটা নির্ভর করে। যেহেতু ঠাকুরঘর বাড়ির সবচেয়ে পবিত্র ও শান্ত স্থান, তাই ঠাকরঘরের রং নির্বাচন করার সময়েও বিশেষ নজর রাখতে হবে। এই ঘরের রং সব সময়ে সাদা, হালকা নীলাভ বা হালকা হলুদ হওয়া উচিত।