জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে প্রতিকূল রবির দশায় মাথা ও মুখে, চন্দ্রে বুকে ও কন্ঠে, মঙ্গলে পিঠে ও পেটে, বুধে হাতে ও পায়ে, বৃহস্পতিতে কোমর ও জঙ্ঘায়, শুক্রে অণ্ডকোষে ও গুহ্যে, শনিতে জানু ও উরুদেশে রোগ হয়। একই ভাবে হাতের রেখার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এখন দেখে নেওয়া যাক উল্লেখিত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার:
চোখের রোগ:
১। রবির আঙুল বা ক্ষেত্র দুর্বল এবং তিল বা কালো দাগ থাকলে।
২। রবির ক্ষেত্রের নীচে হৃদয়রেখায় যব চিহ্ন বা হৃদয় রেখার নীচে রবি সংলগ্ন অর্ধবৃত্তাকার চিহ্ন থাকলে।
৩। আয়ুরেখার উপর যে বয়সে তিল থাকে, সেই বয়স থেকেই দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হয়।
৪। চন্দ্রের ক্ষেত্র দুর্বল, তিল, কাটাকুটি, কালো দাগযুক্ত হলে চোখের সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে যেখানে সেখানে ক্যালেন্ডার নয়, হতে পারে বিপদ
৫। মঙ্গলের ক্ষেত্রে বৃত্ত চিহ্ন থাকলেও চোখের সমস্যা হয়।
রত্ন প্রতিকার: চুনী ও মুক্তা শ্রেষ্ঠ রত্ন। এ ছাড়া হাত ও কোষ্ঠী মিলিয়ে রক্তপ্রবাল বা অন্যান্য রত্ন ধারণ করতে হতে পারে।
দাঁতের রোগ:
১। শনি ক্ষেত্র দুর্বল, কালচে আভাযুক্ত, বজ্র বা তিল চিহ্ন থাকলে।
২। চন্দ্র ক্ষেত্র দুর্বল ও সংকীর্ণ, স্পষ্ট তিল, কাটাকুটি, কালো বা বাদামী স্পট সদৃশ কু-চিহ্ন থাকলে।
৩। বৃদ্ধাঙ্গুলের নখে লম্বালম্বি কালো দাগ ফুটে উঠলে।
৪। বাম হাতের মধ্যমা বা শনির আঙুল বাঁকা হলে জন্ম বা বংশ সূত্রে এবং ডান হাতের মধ্যমা বাঁকা হলে অনিয়ম ও অনাচারের কারণে দাঁতের রোগ হয়।
রত্ন প্রতিকার: এমিথিস্ট, মুক্তা, রক্ত প্রবাল প্রয়োজন হয়। তবে হাত ও ছক দেখতে হবে।