যে কোনও বাড়ি, ফ্ল্যাট, অট্টালিকা অথবা কলকারখানা সম্পূর্নরুপে বাস্তুনীতি অনুসরন করে তৈরি করা অত্যন্ত শক্ত। নির্মাণ কার্যের একেবারে গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত যদি অত্যন্ত সতর্ক হয়ে বাস্তুনীতি মেনে চলা যায়, তা হলেই তা সম্পূর্নরুপে বাস্তুসন্মত বাড়ি হয়ে উঠতে পারে। বাস্তু মেনে বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি না করা হলে তাতে বাস্তুদোষ রয়ে যায়। বাস্তুদোষ হলেও অযথা ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাস্তুশাস্ত্রীরা সেই সব দোষ কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থাও উল্লেখ করেছেন।
যাদের জীবনে বাস্তুসমস্যা দেখা যাবে তারা নীচের নিয়ম পালন করলে বর্তমান বছর ভালো যাবে—
১। প্রত্যেকদিন সন্ধেবেলা বাড়িতে গঙ্গাজল ছেটান ও ধূপ-দীপ জা লান। এতে গৃহের অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে।
২। বাড়িতে ঝুল, মাকড়সার জাল হতে দেবেন না। সঙ্গে সঙ্গে পরিস্কার করবেন। না হলে আর্থিক ক্ষতি বা দাম্পত্য অশান্তি হবে।
৩। প্রত্যেকদিন সকাল ও বিকেলে শাঁখের ধ্বনি দিন। এতে গৃহে শুভ শক্তির সঞ্চার হয়। অশুভ শক্তি দুরীভূত হয়ে থাকে।
৪। সন্তানের পড়াশোনার জন্য ক্রিস্টাল বল ঝোলান।
৫। গৃহ সমস্যার থেকে মুক্তি পাবার জন্য সাত রঙ বিশিষ্ট উইন্ড চেন লাগান।
বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোনও জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই। কারণ বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বকর্মা বলেছেন, এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।