কোষ্ঠীতে মূলত জন্মের বার, সময় এবং তিথি অনুযায়ী নবজাতকের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। আর ভাগ্য নির্ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিচার করা হয় নানা দোষের। তবে, এই দোষগুলি ঠিক কী? জাতক বা জাতিকার জীবনে এই দোষের কারণে কী প্রভাব পড়ে? সেই দোষগুলির মধ্যে মাঙ্গলিক দোষ ও কালসর্প দোষ সম্পর্কে কম-বেশি একটি ধারণা অনেকেরই আছে। এ ছাড়াও আরও কিছু দোষ আছে, যার প্রভাব জাতক-জাতিকার জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।
কী সেই সব দোষ? দেখে নেওয়া যাক:
১। সমগোত্র দোষ:
এই দোষ মূলত হয় যখন কোনও নারী এবং পুরুষ একই গোত্রের কাউকে বিবাহ করেন। এর ফলে, বিবাহিত জীবনে নানা রকম সমস্যা হয় এবং অশান্তি লেগেই থাকে। মূলত, বিয়ের আগে জ্যোতিষী বিবাহযোগ্য নারী এবং পুরুষের কোষ্ঠী মিলিয়ে দেখেন। এতে ৮টি বিষয় বিচার্য হয়। তার মধ্যে একটি হল, এই গোত্র। যদি, বিবাহযোগ্য নারী এবং পুরুষের গোত্র এক হয়, সেই বিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সুখের হয় না।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী দু’জনে এক সঙ্গে উপবাস করে বুধ গ্রহের পুজো করলে, সংসারে কত প্রকার উন্নতি হয় জানেন?
২। পিতৃ দোষ:
এই দোষ মূলত পূর্ব পুরুষের দোষ বিচার করে। যখন কোনও জাতক বা জাতিকার কোষ্ঠী বিচার করা হয়, তখন এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোষ্ঠীর এই বিষয়টি বিচার করার সময় পিতৃপুরুষের কারও যদি কোনও দোষ বা খারাপ কৃতকর্ম থাকে, তবে জাতক বা জাতিকার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
৩। কার্তিক জন্মদোষ:
এই দোষ মূলত কার্তিক মাসে জন্মগ্রহণকারী জাতক বা জাতিকার হয়ে থাকে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি অবধি জন্মগ্রহণকারীরা কার্তিক জন্মদোষ পেয়ে থাকেন। এতে, জাতক জাতিকা সহ তার পরিবারকেও অনেক বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়।