রাশি ভেদে আমাদের ভাগ্যে নির্ধারণ করা থাকে যে আমাদের কর্মজীবন কেমন হবে। ভাগ্যের বিপর্যয়ের জন্য অনেক মানুষকেই জীবনে বহু বার প্রতিকূল পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে হয়।
প্রতিনিয়ত জীবনে বাধা আসে এবং সেই বাধা পিছনে ফেলে বিপত্তি কাটিয়ে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হয়। কিছু মানুষ রয়েছে সেই বাধা সহজেই অতিক্রম করতে পারে আবার কিছু মানুষের বাধা অতিক্রম করতে অনেক সময় চলে যায়।
কঠোর পরিশ্রমের কোনও তুলনা নেই, কঠোর পরিশ্রম করে ভাগ্য গড়ে তোলা যায় কথাটা যেমন সত্যি, তেমনই অন্য দিকে দেখা যায়, গ্রহের ভালমন্দের উপর নির্ভর করেও অনেক সময় কর্মে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যদি গ্রহের কু-প্রভাবের ফলে কর্মে উন্নতিতে বাধা আসে তা হলে ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে যা পালন করলে সেই বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কোন নিয়মের দ্বারা গ্রহের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়
রবি: যদি রবি গ্রহের কু-প্রভাব হয় তা হলে প্রতি দিন মন্ত্র সহকারে সূর্য প্রণাম করতে হবে।
চন্দ্র: চন্দ্রের কু-প্রভাব কাটাতে প্রতি দিন দুধ ও গঙ্গাজল সহকারে শিবের পুজো করতে হবে। প্রতি দিন সম্ভব না হলে প্রতি সোমবার করা যেতে পারে।
বৃহস্পতি: বৃহস্পতির জন্য কর্মে বাধা হলে গরুকে খাবার খাওয়াতে হবে।
বুধ: বুধ গ্রহের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হলে রুপোর গয়না দান করুন।
শুক্র: শুক্র গ্রহের জন্য সমস্যা হলে বাড়ি থেকে বেরনোর আগে গুরুজনদের প্রণাম করে বাইরে যান।
মঙ্গল: মঙ্গলের সমস্যা থাকলে মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করতে হবে এবং কপালে কমলা সিঁদুরের তিলক কাটতে হবে।
শনি: শনি মহারাজের জন্য সমস্যা হলে দুঃস্থ মানুষকে কালো বা নীল জিনিস দান করুন।
কেতু: কেতুর কু-প্রভাবে কর্মে সমস্যা হলে কালো কুকুরকে কিছু খাবার খাওয়ালে তা কেটে যায়।
রাহু: রাহুর কারণে সমস্যা হলে আটার তৈরি কোনও খাবার মাছকে খাওয়ান।
এই নিয়মগুলি মেনে চললে কর্মে উন্নতি তথা কর্মজীবনে উচ্চতর শিখরে পৌঁছতে বেশি দেরি লাগে না।