আমাদের বাড়িতে বা কর্মস্থলে টাকা রাখার জন্য আলমারি বা সিন্দুক থাকে। তবে সেখানে শুধু টাকা নয়, অনেক মূল্যবান জিনিস আমরা রেখে থাকি। সাধারণত এই স্থান হয় মা লক্ষ্মীর স্থান। তাই এই স্থান খুব পবিত্র হওয়া প্রয়োজন। এবং এই স্থানে যেন সব সময় পজিটিভ এনার্জি ভরে থাকে, সে দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত। আর যদি এই স্থান পবিত্র থাকে, তা হলে মা লক্ষ্মী সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। এর ফলে আমাদের জীবনে অর্থের অভাব থাকে না। পারিবারিক সুখ শান্তি বজায় থাকে।
কোনও ভাবে টাকা পয়সা রাখার এই স্থানে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করলে আমাদের জীবনে যেমন অর্থের অভাব আসতে শুরু করে, ঠিক তেমন জীবন অশান্তিতে ভরে উঠতে বেশি দেরি লাগে না। এই বিষয়ে শাস্ত্রে অনেক রকম টোটকার কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি টোটকা হল সুপারি ও কয়েনের টোটকা। এই টোটকা সঠিক নিয়ম মেনে করতে পারলে মা লক্ষ্মীর কৃপা ও স্থায়ী নিবাস হবে আপনার বাড়িতে।
আরও পড়ুন: এই ফুল গাছের মূল দিয়ে একটা কাজ, আপনার জীবনকে সমৃদ্ধিতে ভরে তুলবে
টোটকা করতে কী কী লাগবে:
এই টোটকাটি করতে লাগবে একটি মাত্র সুপারি ও একটি রুপোর কয়েন(লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি আঁকা)। যদি রূপোর কয়েন না থাকে, তা হলে এক টাকার কয়েন দেওয়া যেতে পারে। সুপারিটা যেন একদম নিখুঁত হয়, কোনও ভাবে যেন ভাঙা না হয়। আকারে ছোট্ট ও গোলাকার হবে। সুপারিকে গণেশের প্রতীক ও রুপোর কয়েনকে মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে মানা হয়ে থাকে।
টোটকা করার নিয়ম:
যে কোনও শুক্ল পক্ষের বুধবার সন্ধ্যার সময় শুভ মুহূর্তে একটি লাল কাপড়ের ওপর সুপারি ও কয়েনটা নিজের ঘরের পুজোর স্থানে রাখতে হবে। এই ভাবে সাত সপ্তাহ এর পুজো করতে হবে। সপ্তম সপ্তাহ অর্থাৎ শেষ সপ্তাহের বুধবার বিধি মতো আরতি সহকারে পুজো সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে লক্ষ্মী ও গণেশ মন্ত্র ১০৮বার জপ করতে হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী ভাবে লক্ষ্মী ও গণেশকে গৃহে বসবাস করার প্রার্থনা করতে হবে।