বিবাহিত জীবনে সমস্যা? বিয়ের কার্ডে এই ভুলগুলো ছিল না তো?

 বিয়ের কার্ডে স্বস্তিক চিহ্ন রাখতেই হবে। হিন্দুশাস্ত্রে এই চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০৫:০৪
Share:

নতুন জীবনের শুরুতেই সব কিছু হয় যেন পারফেক্ট এবং মঙ্গলময়। বিয়ের কার্ড বিবাহের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ অঙ্গ। এই কার্ড থেকেই অতিথিরা প্রথম জানতে পারেন পাত্র-পাত্রীর বিয়ের কথা। কার্ড দিয়ে শুরু হয় নিমন্ত্রণের পালা।

Advertisement

বিয়ের এই কার্ডকে ত্রুটিহীন করতে জেনে নেওয়া যাক কিছু বাস্তু টিপস—

• এখনকার অনেক কার্ডেই পাত্র-পাত্রীর ছবি দেওয়ার চল হয়েছে। তবে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কার্ড না করাই ভাল। বিয়ের কার্ডে ছবি দেওয়া অশুভ বলে মানা হয়। শুধু তাই নয়, বিয়ে মিটে যাওয়ার পর কার্ড যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। এর ফলে নব দম্পতির জীবনে অশুভ প্রভাব পড়তে পারে।

Advertisement

• বিয়ের কার্ড কখনও কালো বা ধূসর রঙের করা উচিত নয়। কারণ এই দু’টি রং বিয়ের ক্ষেত্রে অশুভ বলে মানা হয়। এতে দম্পতির জীবনে দুঃখ কষ্ট নেমে আসতে পারে।

• বিয়ের কার্ড সব সময় লাল, হলুদ ও মেরুন রঙের করতে হয়। এই রংগুলি বিয়ের ক্ষেত্রে খুব শুভ বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: আপনি কী ভাবে ভাবেন বলে দেওয়া যায় এই ভাবে (প্রথম পর্ব)

• কার্ড নানা আকারের হয়ে থাকে। যেমন ত্রিকোণ, পাতার আকার, পাখার আকার ইত্যাদি। এই ধরনের কার্ড না করে আয়তাকার বা বর্গাকার করাই সবথেকে উপযুক্ত বা শুভ।

• বিয়ের কার্ডে স্বস্তিক চিহ্ন রাখতেই হবে। হিন্দুশাস্ত্রে এই চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।

• বিয়ের কার্ডে যেন কোনও নৃত্যরত ঠাকুরের ছবি না থাকে।

• বিয়ের কার্ডে গণেশের ছবি থাকা অত্যন্ত শুভ। তবে তা যেন নৃত্যরত না হয়।

• বিয়ের কার্ডে সুগন্ধ কাগজের ব্যবহার করা যেতে পারে। গোলাপ, জুঁই ও চন্দনের গন্ধ। এতে অশুভ শক্তি কাছে ঘেঁষতে পারে না।

• বিয়ের কার্ডে যেন রাধা-কৃষ্ণের ছবি না থাকে। কারণ রাধা-কৃষ্ণ প্রেমের প্রতীক হলেও এদের প্রেমের জীবন বিরহে ভরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement