প্রতীকী চিত্র।
সূর্য এবং চন্দ্রের দূরত্বের হিসাব করে বিভিন্ন তিথি নির্ণয় করা হয়। সূর্য এবং চন্দ্র যখন সম ডিগ্রিতে অবস্থান করে তখন অমাবস্যা তিথি। সূর্যের অবস্থান থেকে চন্দ্র ১২ ডিগ্রি দূরত্ব অতিক্রম করলে তিথি পরিবর্তন হয়। প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, এই রূপে ১৫তম তিথি পূর্ণিমা। চন্দ্র এক মাসের কিছু কম সময়ে রাশিচক্রের ১২টি রাশি প্রদক্ষিণ করে। প্রত্যেক মাসে সূর্যের থেকে চন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থানকালে পূর্ণিমা তিথি হয়। শাস্ত্রমতে প্রত্যেক পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য আছে।
আগামী পূর্ণিমা শুভ গুরুপূর্ণিমা। এই পূণ্য তিথিতে মুনি পরাশর এবং মাতা সত্যবতীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেন মহাভারত রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস। মহর্ষি বেদব্যাসকে সর্বশ্রেষ্ঠ গুরু মেনে এই পূণ্য তিথি গুরু আরাধনার তিথি হিসাবে পালন করা হয়। শাস্ত্র মতে দেবাদিদেব মহাদেব এই তিথিতে সাত ঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন। ভগবান বুদ্ধ বোধিজ্ঞান লাভের পর পূণ্য গুরুপূর্ণিমা তিথিতে তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে মহা উপদেশ দান করেছিলেন। মহাবীর এই পূণ্য তিথিতে তাঁর প্রধান শিষ্যকে দীক্ষা দান করেন। আগামী ২৪ জুলাই, ৮ শ্রাবণ, শনিবার গুরুপূর্ণিমা।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে–
পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ
বাংলা– ৭ শ্রাবণ, শুক্রবার।
ইংরেজি– ২৩ জুলাই, শুক্রবার।
সময়– সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট।
পূর্ণিমা তিথি শেষ–
বাংলা– ৮ শ্রাবণ, শনিবার।
ইংরেজি– ২৪ জুলাই, শনিবার।
সময়– সকাল ০৮টা ০৭ মিনিট।
৭ শ্রাবণ, ২৩ জুলাই, শুক্রবার পূর্ণিমার নিশি পালন।
৮ শ্রাবণ, ২৪ জুলাই, শনিবার শ্রী শ্রী গুরুপূর্ণিমা।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে–
পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ
বাংলা– ৬ শ্রাবণ, শুক্রবার।
ইংরেজি– ২৩ জুলাই, শুক্রবার।
সময়– সকাল ১০টা ০১ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
পূর্ণিমা তিথি শেষ–
বাংলা– ৭ শ্রাবণ, শনিবার।
ইংরেজি– ২৪ জুলাই, শনিবার।
সময়– সকাল ০৮টা ০৮ মিনিট ০৮ সেকেন্ড।
৬ শ্রাবণ, ২৩ জুলাই, শুক্রবার পূর্ণিমার নিশি পালন।
৭ শ্রাবণ, ২৪ জুলাই, শনিবার শ্রী শ্রী গুরুপূর্ণিমা।