মাতা অলক্ষ্মী দেবী। এঁর উৎপত্তি হয়েছিল সমুদ্র মন্থনের সময় নাগরাজের মুখ থেকে বিষের ফোঁটা পড়ে। কলি হলেন অলক্ষ্মীর স্বামী। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে বলা হয়েছে, পাপীদের গৃহে ইনিই অলক্ষ্মীরূপা। অলক্ষ্মী ভগবতীর একটি রূপ। দিপাবালীতে পুজো করে অলক্ষ্মী বিদায় করা হয়।
অলক্ষ্মী অমঙ্গল ও অশুভের প্রতীক। তাই তাঁকে বিদায় করে লক্ষ্মীবরণই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। গোবর দিয়ে অলক্ষ্মী এবং পিটুলি দিয়ে লক্ষ্মী, কুবের ও নারায়ণের মূর্তি নির্মাণ করা হয়। উঠোনের এক কোণে অলক্ষ্মীর মূর্তি রেখে প্রথমে পূজা করা হয়। পূজা শেষে মেয়েরা কুলো পিটাতে পিটাতে মূর্তিটি তেমাথায় নিয়ে যান। সেখানে সমবেত কন্ঠে, 'লক্ষ্মী আয়, অলক্ষ্মী যা' ধ্বনি সহকারে মূর্তিটি ফেলে দেওয়া হয়। এরপর গৃহিণীরা গৃহে ফিরে লক্ষ্মীর পূজা করেন।
আরও পড়ুন: কালীপুজো এবং ভূত চতুর্দশীর দিন ভুল করেও এই কাজগুলো করবেন না
জেনে নেওয়া যাক ১৪২৬ সনের শ্রীশ্রীলক্ষ্মী ও অলক্ষ্মীপূজার নির্ঘণ্ট ও সময় সূচি (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা) মতে:
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে:
বাংলা তারিখ: ৯ কার্তিক ১৪২৬, রবিবার।
ইং তারিখ: ২৭/১০/২০১৯।
সময়: বিকাল ৪টে ৫৯ মিনিট থেকে রাত্রি ৬টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে:
বাংলা তারিখ: ৯ কার্তিক ১৪২৬, রবিবার।
ইং তারিখ: ২৭/১০/২০১৯।
সময়: বিকাল ৪টে ৫৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ড থেকে রাত্রি ৬টা ৩৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের মধ্যে।