প্রতীকী চিত্র।
হস্তরেখা বিচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রেখার বিচার ছাড়াও বিভিন্ন চিহ্নের বিচার জরুরি। বিভিন্ন রেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নির্দেশ করে, ঠিক তেমনই বিভিন্ন চিহ্ন বিভিন্ন তথ্য নির্দেশ করে। দ্বীপ চিহ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। দ্বীপ চিহ্ন বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বিষয় নির্দেশ করে।
দ্বীপ চিহ্ন সাধারণত রেখা বিভক্ত হয়ে বা মূলরেখার সহায়ক রেখার দ্বারা তৈরি হয়। এই চিহ্ন স্বতন্ত্র ভাবে কম তৈরি হয়।
দ্বীপ চিহ্ন সাধারণত আঙুলে দেখা যায় না, কেবলমাত্র তালুতেই দেখা যায়। দ্বীপ চিহ্নের উলম্ব অবস্থান প্রতিকূল ফল দান না করলেও সমন্তরাল অবস্থা খুবই প্রতিকূল ফল দান করে। কেবলমাত্র শুভ শিররেখা এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির শুভ গঠন দ্বীপ চিহ্নের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে।
হৃদয়রেখার উপর দ্বীপ চিহ্ন বংশগত হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা নির্দেশ করে। হৃদয়রেখার উপর রবির ক্ষেত্রের নীচে দ্বীপ চিহ্ন চোখ এবং হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা নির্দেশ করে।
ভাগ্যরেখার উপর দ্বীপ চিহ্ন পুরুষের ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি নির্দেশ করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নির্দেশ করে।
রবিরেখার উপর দ্বীপ চিহ্ন খ্যাতি বা সম্মানহানি এবং দুর্নাম নির্দেশ করে।
স্বাস্থ্যরেখার উপর দ্বীপ চিহ্ন শারীরিক অসুস্থতা নির্দেশ করে। স্বাস্থ্যরেখার উপরের অংশে দ্বীপ চিহ্ন শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নির্দেশ করে।
চন্দ্রের ক্ষেত্রের উপর দ্বীপ চিহ্ন কিডনি এবং গলব্লাডারের সমস্যা নির্দেশ করে।
বিবাহরেখার উপর বা বিবাহরেখার কাছে দ্বীপ চিহ্ন বিবাহে সমস্যা এবং জীবনসঙ্গীর দুর্বলতা নির্দেশ করে।
জীবনরেখার শুরুতে দ্বীপ চিহ্ন শ্বাসযন্ত্রের দুর্বলতা অথবা শৈশবে কঠিন রোগ নির্দেশ করে।
জীবনরেখার শেষ প্রান্তে দ্বীপ চিহ্ন কিডনি এবং গলব্লাডারের সমস্যা নির্দেশ করে।