প্রতীকী চিত্র।
কোনও ব্যক্তির হাতের তালুর বিভিন্ন রেখা দেখে যেমন সেই ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়, ঠিক তেমনই হাতের তালুর বিভিন্ন ক্ষেত্র বা চূড়া বিশ্লেষণ করে ব্যক্তির ভবিষ্যতে কোন রোগের প্রবনতা আছে তা-ও বলা যায়।
হাতের তালুর প্রত্যেক চূড়া (মাউণ্ট) কোনও না কোনও রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ, প্রত্যেক চূড়ার (হাতের তালুর) অস্বাভাবিকত্বের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক রয়েছে।
সাধারণত বৃহস্পতির ক্ষেত্র বা চূড়া (তর্জনীর নিম্ন ভাগ), রবির ক্ষেত্র বা চূড়া (অনামিকার নিম্ন ভাগ), শুক্রের ক্ষেত্র (বৃদ্ধাঙ্গুলির নিম্নভাগ) এবং মঙ্গলের ক্ষেত্র স্বাস্থ্যের সঙ্গে শুভ সম্পর্কযুক্ত। শনির ক্ষেত্র (মধ্যমার নিম্ন ভাগ), বুধের ক্ষেত্র (কনিষ্ঠার নিম্ন ভাগ) এবং চন্দ্রের ক্ষেত্র স্বাস্থ্যের সঙ্গে অশুভ সম্পর্কযুক্ত।
বৃহস্পতির ক্ষেত্র শুভ বা সুগঠিত হলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলা যায়। খাদ্যের প্রতি আসক্তি বেশি হয় বা এককথায় ভোজনরসিক বলা যায়। তর্জনীর তৃতীয় ভাগ (নীচের অংশ) যদি বেশি লম্বা এবং মোটা হয় সে ক্ষেত্রে হজম সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা প্রবল। এ ছাড়াও স্থুলতা বা মেদ বৃদ্ধির সমস্যা, অঙ্গ বিকৃতি বা সন্ন্যাস রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যকৃতের ব্যাধির প্রবণতা থাকে।
শনির ক্ষেত্র বিষণ্ণতা, নিঃসঙ্গতা, স্নায়বিক দুর্বলতা, পক্ষাঘাত, বাত, অর্শ, শিরা এবং যকৃতের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। হাতের তালুর রং যদি হলুদ হয়, তা হলে এই সমস্ত রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। শনির চূড়ায় যদি গ্রিল চিহ্ন থাকে, তা হলে দাঁতের এবং বাতের রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
রবির ক্ষেত্রের সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের রোগের সম্পর্ক। হৃদয়রেখা ভাঙা বা হৃদয়রেখার উপর কোনও বিন্দু (সাধারণত রবির ক্ষেত্রের নীচে) থাকার অর্থ হৃৎপিণ্ডের সমস্যা নির্দেশ করে। রবির আঙুল বাঁকা হলে কার্ডিও ভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
বুধের ক্ষেত্র সুগঠিত হলে সাধারণত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলা যায়। বুধের ক্ষেত্রের অস্বাভাবিকতা সাধারণত স্নায়বিক রোগ এবং লিভারের অস্বাভাবিকতা নির্দেশ করে।