ফেং শ্যুই সম্বন্ধে খুব কম জানা ও ভীষণ উপকারী কিছু তথ্য

অবসাদে ভোগা, মানসিক ভারসাম্যহীন, অসুস্থ বা অলস ব্যাক্তির বিছানার উপর উইন্ড চাইম ধন্বন্তরির মতোই কাজ করে। অন্তত পক্ষে চিন, জাপান, পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এমনই বিশ্বাস রয়েছে।

Advertisement

কৃষ্ণপ্রেম

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০০:০৫
Share:

(১) ফেং শ্যুই মতে, বাড়ির পূর্ব দিকের ঘরে শিশুদের রাখলে তাদের শরীর ও মনের পুষ্ঠিসাধন ভাল ভাবে হয়ে থাকে। পূর্ব দিক দিয়ে ‘চি’ শক্তির আগমন হয় যা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। কিন্তু হাইপারঅ্যাকটিভ বা অতিরিক্ত উত্তেজিত শিশু, যারা খুব অস্থির বা যাদের ঘুম খুব কম, এমন শিশুদের পূর্ব দিকে না রেখে পশ্চিম দিকে রাখা সব থেকে উপযুক্ত। সেই সঙ্গে ফেং শ্যুই মতে ঘরের দেওয়াল যদি নীল বা সবুজ রঙে রাঙিয়ে রাখা যায়, তাতে এই জাতীয় শিশুদের শরীর ও মন ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে।

Advertisement

(২) যে বাড়ির বাসিন্দাদের অধিকাংশ সময় কাটে বিছানায়, অর্থাত্ শোয়া থেকে পড়াশোনা, গল্পগুজব থেকে খাওয়া দাওয়া, সবই চলে বিছানায়, সেখানে ফেং শ্যুই মতে বিছানার উপরে ‘উইন্ড চাইম’ ঝুলিয়ে দিলে অশুভ ‘শাচি’ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। বাড়িতে নিরন্তর ‘চি’ শক্তির আগমন ঘটে। বাড়িতে সর্বক্ষণ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করে। অবসাদে ভোগা, মানসিক ভারসাম্যহীন, অসুস্থ বা অলস ব্যাক্তির বিছানার উপর উইন্ড চাইম ধন্বন্তরির মতোই কাজ করে। অন্তত পক্ষে চিন, জাপান, পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এমনই বিশ্বাস রয়েছে।

(৩) আমরা জানি ঘর,বাড়ি, সুইমিং পুলের ক্ষেত্রে ফেং শ্যুই খাটে। গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে ফেং শ্যুই এর নিয়ম কী? বেশির ভাগ বাড়িতে গাড়ি যে স্থানে রাখা হয়, সেখানে গাড়ির হেডলাইট বা সামনের দিক বাড়ির দিকে মুখ করে রাখা হয়। এই ভাবে গাড়ি রাখা মানে নেগেটিভ শক্তি বা ‘শাচি’ বা অশুভ শক্তিকে বাড়িতে আহ্বান করে বাড়িতে ডেকে আনা বোঝায় যা বাড়ির মালিকের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর। ফেং শ্যুই মতে, গাড়ি এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে, গাড়ির পিছন দিকে বাড়ি থাকবে আর গাড়ির মুখ রাস্তার দিকে থাকবে।

Advertisement

আরও পড়ুন:জোড় না বিজোড়, বাড়ির দরজা, জানলা কেমন হওয়া উচিত

(৪) বাড়িতে কেরোসিন তেলের স্টোভের ব্যবহার ফেং শ্যুই মতে ভীষণ খারাপ। ফেং শ্যুই মতে, স্টোভের ব্যবহারে সবচেয়ে যে ক্ষতিটা বেশি করে হয় তা হচ্ছে সংসারে অর্থের আগমন সাংঘাতিক ভাবে কমে যায় বা আয়ে বাধা সৃষ্টি হয়ে থাকে।

(৫) সারা বিশ্বে ফেং শ্যুই-এর যে জিনিসটা খুবই আলোড়ন ফেলেছে তা হছে ‘ডিক্লাটার’। এর অর্থ ঘর সঠিক ভাবে গুছিয়ে রাখা এবং পুরনো, ভাঙাচোড়া জিনিস ফেলে দেওয়া। ভারতে শ্রীঅরবিন্দের ‘পূর্ণযোগে’ এবং শ্রীমার ‘মায়ের আলাপ’-এ পূর্ণযোগের ক্ষেত্রে ডিক্লাটার নিয়ে বহু কথা বলা আছে। ‘ডিক্লাটার’ অবচেতন মনে ভীষণ প্রভাব ফেলে।

(৬) চিনা ভাষায় যাকে ‘চি’ শক্তি মানে শুভ শক্তি বলা হয়। এই ‘চি’ কে জাপানে বলে ‘কি’, আর ভারতে তাকেই বলে ‘প্রাণ’। ভারতে যোগ শাস্ত্রে ‘প্রাণ’-কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে প্রাণায়ম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement