রুদ্রাক্ষের মালা জপ করলে তাড়াতাড়ি অনেক বেশি ফল পাওয়া যায়। ‘নমঃ শিবায়’ এর প্রধান মন্ত্র। কারণ রুদ্রাক্ষ হল স্বয়ং শিবের আঁখি। এবং ছোট ও বড় দানার কার্যকারিতা সমান। কেবলমাত্র ঘুণ ধরা ও নকল দানা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ।
বহু প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থ ও চিকিৎসার গ্রন্থগুলি থেকে আমরা রুদ্রাক্ষের বিশেষ বিশেষ পরিচয় পেয়ে থাকি। দেবগণ ও মুনি ঋষি এটাকে যথেষ্ট সম্মানের সহিত গ্রহণ করতেন। তাই অদ্যাবধি সেই রুদ্রাক্ষ ফলের ব্যবহার দেখা যায়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অধ্যয়ন করলে উদ্ভিদ জগতের মধ্যে রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ বিশেষ আকারে পরিলক্ষিত হয়। এই রুদ্রাক্ষে ব্যবহারে সকলেই উপকৃত হবেন। এর শুকনো ফলের কোনও উপকারিতা নেই কিন্তু পাকা ফলের অদ্ভুত উপকারিতা।
আরও পড়ুন: আপনার জন্মছকে এই যোগ থাকলে আপনি ধনী হবেন
রুদ্রাক্ষের শক্তি সীমাহীন। রুদ্রাক্ষ সাধককে ব্রহ্মজ্ঞান ও ভৌতিক সমৃদ্ধি দান করে। রুদ্রাক্ষের দ্বারা বহু জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ও বিজ্ঞান এর গুণগান করে থাকে। ভাঙা, হাল্কা ও পোকা ধরা রুদ্রাক্ষে কোনও কাজ হয় না। শাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষ সংস্কার করে ধারণ করতে হয়। এই রুদ্রাক্ষ এক মুখ থেকে একুশ মুখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত এক থেকে চোদ্দ মুখ পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ পাওয়া খুব কঠিন। যে রুদ্রাক্ষ সবদিকে সমান, কোথাও বাঁকা, উঁচু-নীচু বা ভাঙা-চোরা নেই, সেই রুদ্রাক্ষ সবথেকে ভাল।
একমুখী রুদ্রাক্ষ লম্বা হয়, আবার গোলাকারও হয়ে থাকে। একমুখী রুদ্রাক্ষের মুল্য বেশি। এটা ধারণ করলে ভয়ানক পাপ রাশি ধ্বংস হয়। এটা জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং সর্বসিদ্ধি দান করে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে দেব কৃপা পাওয়া যায় ও বৈভবশালী হওয়া যায়।