পাত্রের রাশি যা, সেই অনুযায়ী পাত্রী রুদ্রাক্ষ ধারণ করবে বিবাহের দিন, বিবাহ অনুষ্ঠানের আগে। অর্থাৎ কনে সাজ সাজার সময় সোনায় মোড়া ওই রুদ্রাক্ষ পাত্রী পরবেন, যাতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। বিবাহিত জীবনের জন্য দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ পরতেই হবে। সঙ্গে পাত্রের রাশি অনুযায়ী রুদ্রাক্ষ পরতে হবে পাত্রীকে।
এখন জেনে নেওয়া যাক পাত্রের রাশি অনুযায়ী পাত্রীর কত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত:
১। পাত্রের রাশি মেষ হলে পাত্রী ধারণ করবেন তিনমুখী রুদ্রাক্ষ।
২। পাত্রের রাশি বৃষ হলে পাত্রী ধারণ করবেন দ্বিমুখী ও ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ।
আরও পড়ুন:এ ভাবে ঘুমোলে বাড়তে পারে দাম্পত্য জীবনে যৌন সমস্যা
৩। পাত্রের রাশি মিথুন হলে পাত্রী ধারণ করবেন দ্বিমুখী ও পাঁচমুখী রুদ্রাক্ষ।
৪। পাত্রের রাশি কর্কট হলে পাত্রী যে কোনও রাশিই হোক, তিনি পরবেন দ্বিমুখী ও চারমুখী রুদ্রাক্ষ।
৫। পাত্রের রাশি সিংহ হলে স্ত্রী দ্বিমুখী ও তিনমুখী রুদ্রাক্ষ পরবেন।
৬। পাত্রের রাশি কন্যা হলে পাত্রী দ্বিমুখী ও পাঁচমুখী রুদ্রাক্ষ পরবেন।
৭। পাত্রের রাশি তুলা হলে পাত্রী দ্বিমুখী ও ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ পরবেন।
৮। পাত্রের রাশি বৃশ্চিক হলে পাত্রী ধারণ করবেন দ্বিমুখী ও তিনমুখী রুদ্রাক্ষ।
৯। পাত্রের রাশি ধনু হলে পাত্রী ধারণ করবেন দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ।
১০। পাত্রের রাশি মকর হলে নারী দ্বিমুখী ও আটমুখী রুদ্রাক্ষ পরবেন।
১১। পাত্রের রাশি কুম্ভ হলে পাত্রী ধারণ করবেন দ্বিমুখী, তিনমুখী ও আটমুখী রুদ্রাক্ষ।
১২। পাত্রের রাশি মীন হলে পাত্রী ধারণ করবেন দু’টি দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য- কোনও নারী ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর আবার বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হলে বিয়ের ঠিক আগে সাতমুখী রুদ্রাক্ষ পরবেন।
বিধবার পুনর্বিবাহে সাতমুখী ও পাত্রের যে রাশিই হোক পাত্রী চারমুখী রুদ্রাক্ষ পরবেন। অর্থাৎ সাতমুখী ও চারমুখী।
রুদ্রাক্ষ শুধু ধারণ করলেই হবে না। রোজ রুদ্রাক্ষকে পূজা দিতে হবে। সোমবার বিশেষ পূজা।