সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পিছনে রাশির ভূমিকা (প্রথম পর্ব)

এখানে রাশিচরিত্র কী ভাবে আমাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে পারে তার একটা অভিজ্ঞতালব্ধ আভাস দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

প্রেম, ভালবাসা ও বিবাহিত জীবন ভেঙে যাওয়ার পিছনে জ্যোতিষমতে অনেক কিছুই কাজ করে, তার মধ্যে পূর্বজন্মের কর্মফল, নরনারীর প্রকৃতি যার প্রকাশ রাশি চরিত্র ও গ্রহের বিভিন্ন ভাবে অবস্থানের উপর নির্ভরশীল। এখানে রাশিচরিত্র কী ভাবে আমাদের সম্পর্ক ভেঙে দিতে পারে তার একটা অভিজ্ঞতালব্ধ আভাস দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

মেষ- বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেষের সম্পর্ক ভেঙে যায় এদের জন্মগত অস্থিরতা ও একগুঁয়েমির কারণে। এরা বিপরীত লিঙ্গের সেন্টিমেন্টকে সব সময় বুঝতে ভুল করে থাকে। এদের ধৈর্য কম অথচ চাহিদা বেশি। ফলে প্রথমে এদের কারও সঙ্গে যখন ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে, তখন প্রেম বা ভালবাসা ভালভাবেই কাজ করে থাকে। কিন্তু তারপর সময় যতই এগোতে থাকে তখন ধীরে ধীরে ভালবাসা সরে যায় আর তার জায়গায় অধিকারবোধ আসে। তা বিপরীত লিঙ্গের উপর প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে। এর ফলে একদিন সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং সম্পর্ক ভেঙে যায়।

বৃষ- টাকাপয়সা, জামাকাপড়, খাট বিছানা, বাড়িঘর সব কিছুকে নিয়ে যে জাগতিক সুখভোগের জীবন, এরা তাকেই প্রেম বা ভালবাসা বলে বোঝে। এই সব জাগতিক জিনিসগুলির অভাব ঘটলে প্রেম বা ভালবাসার অভাব ঘটেছে বলে এরা ধরে নেয়। এরা বিপরীত লিঙ্গের কাছ থেকে এই সব জাগতিক জিনিসগুলি কামনা করে। তা না দিতে পারলে সম্পর্কে ফাটল নেমে আসে এদের জীবনে। আর তার সঙ্গে থাকে এই সব না দিতে পারার অতীত ঘটনার রোমন্থন বা অতীত ভুলের কোনও কাহিনি। বিশেষ করে প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক/প্রেমিকারা অতীত কোনও এক বা একের অধিক ভুলের ঘটনা তুলে ধরে একে অপরকে দোষারোপ করে থাকে। ফলে সম্পর্ক ভেঙে যায়।

Advertisement

আরও পডুন: কিস ডের আগে জেনে নিন চুমু কত ধরনের হয়ে থাকে

মিথুন- প্রকৃতিগত ভাবে মিথুন দ্বিস্বভাবযুক্ত রাশি। সিদ্ধান্তহীনতার রাশি। এরা বিপরীত লিঙ্গকে তাদের প্রকৃতির সামনে যে স্বভাবটা দেখিয়ে থাকে আর অন্য স্বভাবটা আড়ালে রাখে। এদের প্রেম, বা ভালবাসাটা কেয়ার ফ্রি, মজা বা ফানলাভিং এবং ভূতূরে স্বভাবের। এরা যখন ভালবেসেছিল তখন কী কারণে ভালবেসেছিল সেটা তাদের জানা ছিল না। আবার যখন সম্পর্ক ভেঙে যায় তখনও এরা সেই অর্থে জানে না কেন ভেঙে যাচ্ছে। জন্মগত অগভীর ভাব আর সিদ্ধান্ত না নিতে পারাই এদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ।

কর্কট- স্বভাবের দিক থেকে ভয়ঙ্কর আবেগপ্রবণ এই রাশি। বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। খুব বেশি ঘরোয়া স্বভাবের। এরা বাইরের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। ফলে এরা বিপরীত লিঙ্গের মন বুঝে চলতে পারে না। বরং এরা আশা করে, বিপরীত লিঙ্গই এদের মন বুঝে চলুক। এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘকাল চলতে পারে না। ফলে এক সময় সম্পর্কে ফাটল ধরে, ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকে। এক সময় সম্পর্ক ভেঙে যায়।

সিংহ- এমনিতে সিংহ রাজকীয় স্বভাবের রাশি হলে হবে কী, কিন্তু খুব বেশি কানপাতলা মানসিকতার। এদের স্বভাবের আর একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে, নিজের স্বভাবের প্রশংসা শুনতে ভালবাসে কিন্তু সমালোচনা শুনতে একদম ভালবাসে না। মানুষ মাত্রেই দোষেগুণে গড়ে ওঠে কিন্তু সিংহ রাশির জাতক/জাতিকা বিপরীত লিঙ্গের কাছ থেকে সমালোচনা শুনতে শুনতে এক সময় তার আত্মমর্যাদায় আঘাত লেগে যায়। ফলে এক সময় সম্পর্কে ফাটল ধরে। শেষে পরস্পর পরস্পরকে ছেড়ে যায়।

কন্যা- কন্যা কোনও ভাবেই রোম্যান্টিক স্বভাবের রাশি নয়। তার উপর এরা মিউটেবল বা দ্বিস্বভাব যুক্ত। যে কোনও দ্বিস্বভাবযুক্ত রাশির প্রেম বা ভালবাসা স্থায়ী হতে চায় না। কন্যা আবার মনের দিক থেকে কর্তৃত্ব বা প্রভুত্ব করা পছন্দ করে। বিবাহিত জীবনে স্বামী হলে স্ত্রীর উপর প্রভুত্ব ফলাতে চেষ্টা করে,আর স্ত্রী হলে স্বামীর ওপর। যখন এরা সেই কর্তৃত্ব করতে পারে না, তখন এদের মনে হতে থাকে, তার সঙ্গী তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তখন এরা তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে, এক সময় সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তুলা- তুলা রাশির জাতক/জাতিকারা অত্যাধিক মাত্রায় স্পর্শকাতর চরিত্রের হয়ে থাকে। যদিও তুলা রাশি খুব উঁচু রুচি ও শিল্পগুণ সম্পন্ন রাশি। এদের স্বভাবটাই এমন, অন্যের আকর্ষণ টানার চেষ্টা করে। আর কোনও রাশির চরিত্রে সে ভাবে দেখা যায় না। এটা একটা গুপ্ত ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা। যদি দেখে এদের বিপরীত লিঙ্গ সে যদি প্রেমিকা/প্রেমিক বা স্বামী/স্ত্রী যেই হোক না কেন তাদের সমস্যার প্রতি সে ভাবে মনোযোগী হচ্ছে না তখন এরা স্পর্শকাতর মানসিকতার জন্যে ভিতরে ভিতরে খুব বোর ফিল করে। তখন এরা মনে করে তাচ্ছিল্য হচ্ছে বা অপমানিত হচ্ছে এই ভাব থেকেই এক সময় সম্পর্ক ভেঙে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement