খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ব্যস্ত জীবনযাত্রা ইত্যাদি এই রোগের মূল কারণ।
ডায়াবিটিস মেলিটাস। চলতি কথায় সুগার। সুগার কথাটি মিষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও রোগের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। শুনলেই আতঙ্ক। আতঙ্ক থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু বিশাল। প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই রোগে ভোগেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডায়াবিটিসের অর্থ রক্তে এবং শরীরের কলাতে (টিসু) অতিরিক্ত শর্করা। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ইনসুলিন নামক হরমোনের ঘাটতির কথা বলা হয়। অগ্ন্যাশয় (প্যানক্রিয়াস) নামক গ্রন্থি ইনসুলিনের উৎসস্থল। অর্থাৎ অগ্ন্যাশয়ের সঠিক কার্যক্ষমতা হারানো বা সঠিক কর্ম করতে ব্যর্থ হওয়া এই রোগের কারণ। যকৃৎকেও এই রোগের জন্য দায়ী করা হয়। খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ব্যস্ত জীবনযাত্রা ইত্যাদি এই রোগের মূল কারণ।
জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যা কী—
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে প্রতিটি ভাব এবং প্রতিটি গ্রহের মানব শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপর প্রভুত্ব আছে। যকৃৎ এবং অগ্ন্যাশয়ের অবস্থান জন্মছকের পঞ্চম ভাবের অধিক্ষেত্র। যকৃৎ এবং অগ্ন্যাশয়ের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন বৃহস্পতি। অগ্ন্যাশয়ের বাকি অংশ নিয়ন্ত্রণ শুক্রের। অর্থাৎ ডায়াবিটিসের সঙ্গে বৃহস্পতি এবং শুক্রের সরাসরি সম্পর্ক।
বৃহস্পতি এবং শুক্রের শুভ, অশুভ, উচ্চস্ত নীচস্ত অবস্থানের উপর যকৃৎ এবং অগ্ন্যাশয়ের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হ্রাস নির্ভর করে।
বৃহস্পতি এবং শুক্রের কেমন অবস্থানে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা?
বৃহস্পতির নীচস্ত অবস্থান অথবা ষষ্ঠ, অষ্টম এবং দ্বাদশ স্থানে বৃহস্পতির অবস্থান এই রোগের কারণ হতে পারে।
অশুভ গ্রহ যেমন শনি, রাহুর সঙ্গে বৃহস্পতির অবস্থান বা অশুভ দৃষ্টি সম্পর্ক।
বৃহস্পতি অস্তমিত (সূর্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান)।
শুক্রের ষষ্ঠ রাশিতে অবস্থান, দ্বাদশ রাশিতে অবস্থিত বৃহস্পতির সঙ্গে দৃষ্টি সম্পর্ক।
বৃহস্পতির বক্রী অবস্থান ইত্যাদি।
কখনও এই রোগের আশঙ্কা তা মহাদশা অন্তর্দশার উপর নির্ভরশীল।