ভারতের অন্যতম শুভ উৎসব চৈত্র নবরাত্রি। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চৈত্র নবরাত্রি, বাসন্তি দুর্গা পূজা বা চৈত্র দুর্গা পূজা নামেও পরিচিত। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্ল প্রতিপদ থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি। টানা নয় দিন ধরে দুর্গার নয় রূপের পূজা করা হয়। পাশাপাশি প্রথা এবং নিয়ম মেনে অষ্টমী বা নবমীর দিন রামনবমীও পালন করা হয়ে থাকে। এই পূজা চলাকালীন দেবী দুর্গার ভক্তরা ব্রত পালন করেন এবং পুজো শেষে রাতে ভজন ও আরতির মাধ্যমে নিজেদের জাগ্রত করে রাখেন।
জেনে নেওয়া যাক নবদুর্গার তৃতীয় রূপ সম্পর্কে:
২৭ মার্চ ২০২০ (বাংলা ১৩ চৈত্র ১৪২৬) শুক্রবার দেবী পূজার তৃতীয় দিন। এই দিনে দেবীর তৃতীয় রূপ, চন্দ্রঘণ্টার পুজো করা হয়। দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্র প্রদত্ত ঘণ্টা, যার মধ্যে গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি নিহিত ছিল। চন্দ্রের চেয়েও লাবণ্যবতী ইনি। মা চন্দ্রঘণ্টা সাংসারিক সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। তার মাথায় থাকে একফালি চাঁদ। চাঁদের আকার আবার ঘণ্টার মতো। এই দেবীর বাহন সিংহ। দশভূজা দেবীর দশ হাতে ধরা অস্ত্র।
আরও পড়ুন: ১৪২৬ সনের চৈত্র নবরাত্রির নির্ঘণ্ট ও আরাধনা মন্ত্র
জেনে নিন নবরাত্রির তৃতীয় দিনে দেবীকে কী অর্পণ করা উচিত:
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিনে গরুর টাটকা দুধ দিয়ে পূজা করুন। তাতে আপনার জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে।
জেনে নিন দেবী চন্দ্রঘণ্টার ধ্যানের মন্ত্র:
বন্দে বাঞ্জিতলাভায় চন্দ্রার্ধকৃতশেখারাম্।
সিংহরূঢাং দশভুজাঞ্চন্দ্রঘণ্টাং যশস্বনীম্
কঞ্জনাভাং মনিপুরস্থিতাং তৃতীয়দুর্গাং ত্রিনেত্রাম্।
খড়্গগদাত্রিশূলচাপধরাং পদ্মকমণ্ডলুমালাবরাভয়করাম্।
পটাম্বরপরিধানাং মৃদুহাস্যাং নানালঙ্কারভূষিতাম্।।
মঞ্জীর-হার-কেয়ুর-কিঙ্কিণীরত্
প্রফুল্লবন্দনাং বিম্বাধারাং কান্তঙ্কপোলাং তুঙ্গকুচাম্।
কমনীয়াং লাবণ্যাং ক্ষীণকটিং নিতম্বনীম্।।