গাছের মূল বা শিকড় ধারণের ক্ষেত্রে মানুষের ওজন অনুযায়ী শিকড়ের পরিমাণ বিভিন্ন হয়ে থাকে। জাতকেরা ডান হাতে এবং জাতিকারা বাম হাতে ধারণ করবেন। আবার কেউ কেউ কোমরেও পরতে পারেন। তবে এই সব শিকড় ধারণ করার পূর্বে গরিব মানুষকে কিছু দান করে সেই গ্রহের পূজাপাঠ করে এবং সেই গ্রহের বীজমন্ত্রটি ষোলো বার জপ করে ধারণ করতে হবে। নির্দিষ্ট গ্রহের নির্দিষ্ট মূল না হলে অবশ্যই ক্ষতি হতে পারে। ধারণের সময় যে মন্ত্র বলবেন:
‘ত্রীপুলীং ক্ষিরিকা মূল গো জিহ্বাং বৃহদ্দারকম।
ব্রহ্মষষ্টিং সিংহ পুচ্ছিং ব্যর্যালং চন্দনং সিতম।
অশ্বগন্ধং ক্রমাং সূর্যাং দক্ষাং দেবো পক্ষান্তরে’।
এখন দেখে নেওয়া যাক কোন গ্রহের ক্ষেত্রে কোন মূল ধারণ করবেন:
১। রবি: রবি প্রতিকূল হলে বিল্ব মূল ধারণ করতে হয়।
২। চন্দ্র: চন্দ্র প্রতিকূল হলে ক্ষিরিকা মূল ধারণ করতে হয়।
৩। মঙ্গল: মঙ্গল প্রতিকূল হলে অনন্ত মূল ধারণ করতে হয়।
আরও পড়ুন: মেষ রাশির জাতকের কোন বয়সে কী ধরনের রোগ হতে পারে
৪। বুধ: বুধ প্রতিকূল হলে বৃহদ্বারক মূল ধারণ করতে হয়।
৫। শুক্র: শুক্র প্রতিকূল হলে রামবাসকের মূল ধারণ করতে হয়।
৬। বৃহস্পতি: বৃহস্পতি প্রতিকূল হলে জৈষ্ঠআঁটির মূল ধারণ করতে হয়।
৭। শনি: শনি প্রতিকূল হলে শ্বেতবেড়েলার মূল ধারণ করতে হয়।
৮। কেতু: কেতু প্রতিকূল হলে অশ্বগন্ধার মূল ধারণ করতে হয়।
৯। রাহু: রাহু প্রতিকূল হলে শ্বেতচন্দনের মূল ধারণ করতে হয়।