একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের জীবন যখন গতিময়তার ছন্দে পা রেখে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তেমনই জীবন হয়ে উঠছে আরও উন্নত আরও রঙীন। আর আক্ষরিক অর্থেই মানবজীবনে রঙের প্রভাব আমরা কখনই অগ্রাহ্য করতে পারি না। এর মধ্যেই বাস্তুশাস্ত্রে রঙের বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক মানুষই চান তার সাধের বাড়িটি তার মনের মতো রঙে সাজানো হোক। পোশাক থেকে শুরু করে আপনার বেডরুমের দেওয়ালের আঁকিবুকি, সব ক্ষেত্রেই আপনি কি ধরনের রং নির্বাচন করছেন তা ঠিক করে দেয় আপনার রুচিবোধ। বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির উপর রঙের প্রভাব অর্থাৎ ‘ফোটো মেডিসিন’ আজ সর্বজনবিদিত।
বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির উপর রঙের প্রভাব:
১। হাঁপানী ও অনিদ্রার রোগীদের উপর বেগুনি রঙের প্রভাব লক্ষ করা যায়। এই রংটি আর্থারাইটিস, গাউটস ও বিভিন্ন শারীরিক ব্যথা বেদনা নিরাময়ের পক্ষে সহায়ক। যেখানে মশার প্রকোপ বেশি সেখানে বেগুনী রঙ বিশেষ কার্যকর। এই রঙটি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে থাকে।
২। শরীরের শিথিল ভাবের ক্ষেত্রে সিঁদুর রং শুভ ফলদায়ক।
৩। অন্য দিকে বাচ্চাদের ঘর লাল রঙ করা উচিত নয়। কিন্তু যে বাচ্চার স্মৃতি শক্তি কম তাদের ক্ষেত্রে লাল বা গোলাপী রঙ বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা প্রদান করে।
৪। হলুদ রং হৃদ্পিণ্ড ও স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই উন্মাদনা, মানসিক দুর্বলতা, অম্বল, পিত্তজনিত সমস্যা প্রভৃতি থেকে মুক্তিতে হলুদ রং কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এটি মস্তিষ্ককে সক্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। বুদ্ধির বিকাশে হলুদ রং বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
৫। আকাশী রং পেট সংক্রান্ত রোগের পক্ষে বিশেষ সহায়ক।
৬। ফুসফুস, প্লীহা এবং নাড়ির উপর কমলা রঙের প্রভাব লক্ষ করা যায়। এই রং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৭। লাল রং খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।পাশাপাশি সর্দি-কাশী, রক্তচাপ এবং গলার রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
৮। পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য সাদা রং বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই এই রোগীদের ঘর, আসবাব ও পোশাক যদি সাদা রঙের হয় তবে এটা রোগা নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়।