গণেশের মূর্তি স্থাপন করুন বাস্তু বা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুফল প্রাপ্ত হবে। ছবি-প্রতীকী
সিদ্ধিদাতা গণেশ হিন্দু শাস্ত্রমতে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধিদাতা। কিন্তু গণেশ কেন সিদ্ধিদাতা?
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময়ে মাতা দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেন তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। শনিদেব অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, কারণ তিনি যানতেন তাঁর দৃষ্টিতে স্ত্রীর অভিশাপ আছে। স্ত্রীকে অবহেলার কারণে শনিদেবের স্ত্রী শনিদেবকে অভিশাপ দেন, শনিদেব যাঁর দিকে নজর দেবেন, তাঁর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরীপুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র শিশু শ্রীগণেশের মস্তক ভস্মীভূত হয়। এমন অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তীমস্তক দ্বারা শ্রীগণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এরূপ দর্শনের কারণে শ্রীগণেশ কি দেবতা রূপে পূজিত হবেন। অবশেষে দেবতাগণের আশীর্বাদে শ্রীগজানন সিদ্ধি বা সাফল্য লাভের দেবতার স্থান পান। এই কারণে সব শুভকর্মে এমনকি, সব পূজার প্রারম্ভে সিদ্ধিদাতার পূজা বিধি। সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে সব কর্মে সাফল্য আসে।
সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনায় বুধ এবং কেতু গ্রহের অশুভত্ব নাশ বা হ্রাস হয় (কোনও গ্রহের প্রতিকার এক দিনে সম্ভব নহে কমপক্ষে ৩ মাসে পূজার পর ফল প্রাপ্ত হয়)। গ্রহের অশুভত্ব নাশ বা হ্রাসের জন্য সিদ্ধিদাতাকে লাল জবাফুল এবং দূর্বা সহযোগে পূজা করলে বিশেষ ফল লাভ হয়।
ভাদ্র মাসের শুক্লচতুর্থী তিথি সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মতিথি। এ দিনে গণেশ আশীর্বাদ দানের উদ্দেশ্যে মর্তে আগমন করেন। এই তিথিতে গণেশের উপাসনা এবং সাধ্য মতো দান করলে সিদ্ধিদাতা গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্তি হয়। এই বিশেষ তিথিতে গৃহে বা ব্যবসা স্থানে উত্তরপূর্বে (দক্ষিণপশ্চিম দিকে মুখ করে) গণেশের মূর্তি স্থাপন করুন বাস্তু বা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুফল প্রাপ্ত হবে।