হস্তরেখা বিচারের ক্ষেত্রে জীবনরেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়, যে জাতকের হাতে জীবনরেখার অস্তিত্ব নেই, সেই জাতক ব্যক্তি বৈশিষ্ট্য, জীবনশক্তি, পেশীশক্তি বিহীন। জীবনরেখা থেকে আয়ু বিচার করা হয়। সেই কারণে চলতি কথায় এই রেখাকে আয়ুরেখাও বলা হয়।
বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নীচে থেকে উৎপত্তি হয়ে শুক্রের ক্ষেত্রকে ঘিরে মনিবন্ধ পর্যন্ত জীবনরেখার ক্ষেত্র। কোনও কোনও জাতকের হাতে জীবনরেখার সমান্তরাল মঙ্গলের রেখা (লাইন অফ মার্স) লক্ষ্য করা যায়। জীবনরেখার সমান্তরাল মঙ্গলের রেখার অবস্থান খুবই শুভ। কখনও শুক্রের রেখাও জীবনরেখার সঙ্গে লক্ষ্য করা যায়। সে ক্ষেত্রে দোষ মুক্ত শুক্রের রেখাই শুভ ফল দান করে।
জীবনরেখা দেখে আয়ু বিচারের ক্ষেত্রে কিছু ভ্রান্ত ধারণাও আছে। যেমন, আয়ুরেখা দীর্ঘ হলেই দীর্ঘজীবী হয় বা দীর্ঘ আয়ু প্রাপ্ত হয়। এটা কিন্তু ভ্রান্ত ধারণা। অনেক বৃদ্ধের তালুতেই ছোট জীবনরেখা দেখা যায়। জীবনের গুরত্বপূর্ণ ঘটনা, দুর্ঘটনা, মৃত্যু এবং মৃত্যুর কারণ এই রেখা থেকে নির্ণয় করা হয়।
আরও পড়ুন: জন্মছকে যদি গ্রহের স্থান এই রকম থাকে তা হলে আপনি বিশাল সম্মান, প্রতিপত্তির অধিকারী হবেন
স্পষ্ট এবং গভীর জীবনরেখার জাতক সুস্থ এবং নীরোগ হয়। ভাঙা ভাঙা অস্পষ্ট জীবন রেখা জাতকের জীবনে কষ্ট, শারীরিক সমস্যা, দুর্ঘটনা পূর্ণ, আবেগহীনতার লক্ষণ। এই ধরনের জীবনরেখা ধৈর্যহীন, বদমেজাজি এবং বদরাগীরও লক্ষণ।
জীবনরেখা এবং শিরোরেখার উৎপত্তির স্থল (বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নীচে) সংযুক্ত হলে তা খুবই শুভ। এই ধরনের জাতক কঠোর পরিশ্রমী, পরিকল্পনামাফিক কাজে সক্ষম এবং সফল। জীবনরেখা বৃহস্পতির ক্ষেত্র বা বৃহস্পতির চূড়া থেকে উৎপন্ন হওয়ার অর্থ, জাতকের উচ্চাকাঙ্খা এবং ইচ্ছা শক্তি প্রবল। এই রকম রেখা যুক্ত জাতক সাফল্য এবং উন্নতির উচ্চশিখরে পৌছতে পারে।
জীবনরেখা চন্দ্রের ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার অর্থ, জাতক চঞ্চল এবং ভ্রমণ পিপাসু।