যন্ত্রমকে আপনি প্রকৃতির অ্যান্টেনা বলতে পারেন। এই অ্যান্টেনাতে ধরা পড়ে মহাবিশ্বের শক্তি, কম্পন। এগুলিকে রূপান্তরিত করে যন্ত্রম পরিবেশকে প্রভাবিত করে। যন্ত্রমে বিশেষ জ্যামিতিক প্যাটার্ন আঁকা থাকে। কুবের যন্ত্রের মান ৭২। এই সংখ্যাটির কম্পনশক্তি এক অদ্ভুত ‘পজিটিভিটি’ তৈরি করে। ভাল করে এক বার দেখে নিয়ে চোখ বন্ধ করে নির্দিষ্ট যন্ত্রের কেন্দ্রে মনোসংযোগ করলে এই এনার্জি জাগরিত হয়ে ওঠে এবং ফল দিতে শুরু করে। যন্ত্রম ধাতব হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক কুবের যন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় কী কী বিষয় মনে রাখা দরকার:
১। যন্ত্রটিকে পূর্ব কিংবা উত্তরমুখী করে কোনও পরিষ্কার জায়গায় রাখবেন।
২। বাইরের কাউকে যন্ত্র স্পর্শ করতে দেবেন না।
৩। মাঝে মাঝে যন্ত্রটিকে গোলাপজল কিংবা দুধ দিয়ে মুছে নেবেন। তার পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নেবেন।
৪। পূজোর সময় চন্দন বেটে যন্ত্রের চারটি কোণায় চারটি গোল ফোঁটা দিতে পারলে ভাল হয়।
আরও পড়ুন: কোন লগ্নের জন্য কোন গ্রহ শুভ, কোনটাই বা অশুভ, জেনে নিন
৬। যন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় অবশ্যই একটি মোমবাতি কিংবা ঘিয়ের প্রদীপ এবং ধূপ জ্বালিয়ে যন্ত্রের সামনে রাখবেন।
৭। শুকনো ফল প্রসাদ হিসাবে যন্ত্রের সামনে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
৮। স্নান করে শুদ্ধ হয়ে শুদ্ধবস্ত্র পরে এই মন্ত্র উচ্চারণ করবেন:
‘ওঁ হ্রিং স্রিং হ্রিং কুবেরায় নমহ’ অথবা ‘ওঁ ধনিতপায় বিদ্মহে রাজ রাজয় ধীমহি তন্নো কুবেরা প্রচোদয়াৎ’।
কোথায় রাখবেন কুবের যন্ত্রম:
কুবের যন্ত্রকে আপনি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন আপনার ঠাকুরের আসনে কিংবা ক্যাশবাক্সে, আলমারিতে, যেখানে টাকা রাখেন কিংবা অফিসে, যেখানে কোনও ঠাকুরের স্থান করেছেন অথবা অফিসের ক্যাশবাক্সে।