ক্রিস্টাল বলের উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় আমাদের সকলেরই জানা। ক্রিস্টাল বলের মধ্যে এমন এক অসাধারণ শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে যা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী। তবে আরও অন্যান্য অনেক বিষয়ও উপকার পাওয়া যায় এই ক্রিস্টাল বল থেকে, এতে কোনও সন্দেহ নেই।
ক্রিস্টাল বল থেকে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি বিদ্যার্থীকে ধীরে ধীরে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের বাসস্থানের ১০টি দিক আছে। প্রতিটি দিকের অধিপতিরূপে এক একজন দেবতা আছেন এবং প্রতিটি দিকের আবার এক একজন অধিপতি গ্রহ আছে।
আরও পড়ুন:এক মুঠো কালো তিল জীবনের কত সমস্যার সমাধান করতে পারে জানেন
বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকের অধিপতি দেবতা হলেন শিব এবং অধিপতি গ্রহ দেবগুরু বৃহস্পতি। উনি আমাদের জ্ঞান ও শিক্ষা প্রদান করেন। তাই বাড়িতে এই দিকে ঠাকুর ঘর থাকা উচিত। আর এই দিকে ক্রিস্টাল বল ঝুলিয়ে রাখলে বিদ্যার্থীদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং জ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরা এর থেকে অবশ্যই উপকার পাবেন।
লেখাপড়ায় একাগ্রতা বা মনোসংযোগ বাড়ানোর জন্য ক্রিস্টাল বল অত্যন্ত কার্যকরী। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বাস্তুমতে উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান কোণ। ঈশান কোণ জ্ঞান ও শিক্ষার আধার। এই কোণটাকে উজ্জীবিত করার জন্য অথবা এই কোণে কোনও বাস্তুদোষ থাকলে সেটা প্রশমিত করার জন্য ক্রিস্টাল ঝুলিয়ে রাখা প্রয়োজন।
এই উত্তর-পূর্ব কোণে যদি আবর্জনা থাকে, তা হলে বাস্তু দোষ তৈরি করে এবং বাড়ির ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রতিকার করা প্রয়োজন। তা ছাড়া পড়াশোনায় মনোসংযোগ বৃদ্ধির জন্য বিদ্যার্থীর অধ্যয়ন কক্ষের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি ক্রিস্টাল বল ঝুলিয়ে রাখা প্রয়োজন। ক্রিস্টাল বলটি ঝুলিয়ে দেওয়ার আগে বিশেষ পদ্ধতিতে জাগ্রত করে নিতে হবে এবং কিছু দিন পরপর বলটিকে শোধন করাতে হবে।