জ্যোতিষশাস্ত্রে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে ভাগ্য গণনা করা যায়। সংখ্যাতত্ত্বও একটি অন্যতম মাধ্যম। সংখ্যাতত্ত্বের মাধ্যমে আমরা জীবনের বিবিধ পরিবর্তনের প্রকাশ পেয়ে থাকি। ঠিক তেমন ভাবে আমরা এই পদ্ধতির দ্বারা সঙ্গীর মনের কথাও জানতে পারি। এই গোপন কথা জানার জন্য আপনাকে ছোট্ট একটা অঙ্ক কষতে হবে।
প্রথমে আপনি আপনার সঙ্গীর জন্মতারিখ, জন্মমাস ও জন্মসাল এই তিনটি জানুন। তারপর সেগুলো পরপর সাজিয়ে যোগ করুন। যেমন ২৬ নভেম্বর ১৯৮৬। অর্থাৎ ২+৬+১+১+১+৯+৮+৬= ৩৪
এ বার ৩৪ কে ভেঙে যোগ করতে হবে। অর্থাৎ ৩+৪=৭।
এই ৭ সংখ্যাটিকে বলা হয় ভাগ্যাঙ্ক। এই ভাগ্যাঙ্কের দ্বারাই আপনি জানতে পারবেন আপনার সঙ্গীর মনের কথা।
এখন দেখে নিন আপনি কোন ভাগ্যাঙ্কের মধ্যে পড়ছেন:
ভাগ্যাঙ্ক-১
প্রেমিক হিসাবে: এঁরা সন্দেহ প্রবণ। সংসারে সকলের ওপর কর্তৃত্ব করতে চাইবেন। অহংবোধ থাকবে। শিল্পীসুলভ মানসিকতা থাকবে।
আরও পড়ুন: রবিবারে এই কাজগুলো করলে পকেট ভর্তি টাকা থাকবে সব সময়
প্রেমিকা হিসাবে: এঁরা বুদ্ধিমত্তা ও বাকচাতুর্যের জন্য অনেক সমস্যা সহজেই সমাধান করতে পারেন। এঁরা সংসারের জন্য ত্যাগ করার মানসিকতা রাখেন। পরিবার পরিজনকে খুব ভালবাসেন এঁরা।
ভাগ্যাঙ্ক – ২
প্রেমিক হিসাবে: এঁরা সৎ ও সরল হন। সংসারের মধ্যে বন্ধুত্বের পরিবেশ তৈরি করেন এঁরা। ধনী কন্যাকে বিবাহ করার গোপন ইচ্ছা থাকে। সঙ্গীর মধ্যে বুদ্ধি বিবেচনা ও আকর্ষণীয় ক্ষমতা থাকবে।
প্রেমিকা হিসাবে: এঁরা শান্তিপ্রিয় হন, অশান্তি পছন্দ করেন না। বিলাসবহুল জীবনযাত্রা পছন্দ করেন। স্ত্রী হিসাবে আদর্শ এবং পারিবারিক শান্তিরক্ষার জন্য সমস্ত রকম ত্যাগ স্বীকার করেন।
ভাগ্যাঙ্ক- ৩
প্রেমিক হিসাবে: এঁরা প্রতিভাবান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হন। সঙ্গীর কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করেন, যাঁর ফলে বিবাহিত জীবনে হতাশায় ভোগেন। সমাজে সম্মান পেয়ে থাকেন এঁরা।
প্রেমিকা হিসাবে: এঁরা সুপরামর্শদাত্রী হয়ে থাকেন। সঙ্গীর প্রতি সহমর্মী হন এবং সংসারের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখেন। প্রচণ্ড দায়িত্বশীল হন এঁরা। বাচ্চাদের খুব ভালবাসেন।