প্রতীকী চিত্র।
আমরা ভগবানের নিত্য সেবা করি ভক্তি শ্রদ্ধা সহকারে। মনে করা হয় ঈশ্বরকে যে ভাবেই সেবা করা হোক না কেন তিনি তাতেই সন্তুষ্ট হন। তিনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, ভক্তের ডাকে সাড়া দেবেনই।
কিন্তু একটা কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, প্রত্যেক দেবতাকে সন্তুষ্ট করার আলাদা আলাদা প্রক্রিয়া রয়েছে। যদি আমরা সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারি বা সেই মতে পূজার্চনা করতে পারি তা হলে ঈশ্বরের কৃপা পাওয়া যাবে দ্বিগুণ।
যেমন এক একটি ফুলে এক এক দেবতা সন্তুষ্ট হন। মহাদেবের পুজো যেমন বেলপাতা ছাড়া অসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনই মা কালি সন্তুষ্ট জবা ফুলে। ঠিক সে রকমই জেনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের ঘরে যে ঠাকুর রয়েছেন, তাঁরা কোন সামগ্রীতে সন্তুষ্ট হন। কারণ বাড়ির ইষ্টদেবতার পুজো সঠিক নিয়মে এবং সঠিক সামগ্রী দিয়ে করা অতি আবশ্যক।
দেখে নিন কোন দেবতার চরণে তুলসী অর্পণ করতে নেই—
তুলসীপাতা অর্পণ করা যাবে শুধুমাত্র বিষ্ণুতত্ব যে ভগবান রয়েছে যেমন শ্রীকৃষ্ণ, মহাপ্রভু, শ্রী নিত্যানন্দ প্রভু, শ্রীবিষ্ণু, রামচন্দ্র অর্থাৎ বিষ্ণুতত্বের যে বিগ্রহ রয়েছে এবং ভগবানের যে অবতার রয়েছে তাঁদের চরণে তুলসী অর্পণ করা যাবে। এমনকি শ্রীমতী রাধারানির চরণেও তুলসী অর্পণ করা যাবে না।