চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
কৃতিকা নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাদের মধ্যে উপদেশ দেওয়ার ক্ষমতা ভাল থাকে। এরা খুব আশাবাদী হয় এবং এদের আচরণ হয় খুবই শমীয়। এরা শালীল জীবন যাপন করতে পছন্দ করে।
যে কোনও জটিল জিনিস খুঁজে বের করে সেগুলোকে সঠিক পথে চালনা করার ইচ্ছা সবসময় এদের মধ্যে দেখা যাবে। তা ছাড়া যে কোনও কাজের বিষয়ে ঠিক ভুল বিচার বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছনো এদ্র স্বভাবের অন্যতম গুণ।
এরা এক কথার মানুষ। কথার নড়চড় একদমই পছন্দ করে না এরা। যে কোনও সেবার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে চায়, তবে নাম কেনার জন্য নয়। যখনই নাম কেনার প্রশ্ন আসবে, তখনই আপনি নিজেকে গুটিয়ে নিতে চেষ্টা করবেন।
এদের মুখে উত্তেজনার ছাপ থাকবে এবং এদের দেখলে মনে হয় খুব রাগী প্রকৃতির। কিন্তু তা নয়, এদের ভেতরে প্রচুর ভালবাসা ও স্নেহ থাকে।
আরও পড়ুন: ‘ওঁ’ কথার অর্থ কী
এরা চট করে কাউকে ভয় বা রাগ কোনওটাই দেখাতে চায় না। আধ্ম্যাতিকতায় এদের যথেষ্ট বিশ্বাস থাকবে। একবার জপ, তপ, উপবাস ও পুজো পাঠে যদি মন দেয়, তা হলে সেখান থেকে এদের জীবনের উন্নতির পথ শুরু।
এরা খুব সৎ ও কঠোর পরিশ্রম করার ওপর বিশ্বাস করে। কাজ বা ব্যবসা যাই হোক, সব কিছুতেই এগিয়ে থাকতে চায়। অর্থ উপার্জন করার অসাধারণক্ষমতা থাকবে এদের মধ্যে। অন্যদের পরামর্শ বা শেখানোর ব্যাপারে এরা খুবই দক্ষ।
শিক্ষা ও পেশা
এদের উচ্চ শিক্ষার যোগ আছে। তবে যে কোনও কাজই বাইরে গিয়ে করতে হতে পারে। আইনজীবী, পুলিশ, দমকলকর্মী, অনাথ আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত কোনও কাজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, মিষ্টির দোকান, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কাজ, নিরাপত্তা বাহিনী, আধ্ম্যাত্মিক গুরু ইত্যাদি বিষয়ে উন্নতি করতে পারে।
পারিবারিক জীবন
এরা পারিবারিক জীবনে খুবই সুখী। মায়ের কাছে ভালবাসা অন্য ভাইবোনদের তুলনায় বেশি পায়। বিবাহিত জীবন বেশ আনন্দময় ভাবে কাটবে। স্ত্রী হয়সব কাজে দক্ষ ও এদের অনুগত। তবে জাতকের থেকে স্ত্রী সমাজে বেশি পরিচিতি লাভ করবে। ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত সময়টা কঠিন থাকলেও ৫৫ বছর বয়সের পর আর পিছন ঘুরে তাকাতে হবে না।