—প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়। ভূত চতুর্দশী নামটার মধ্যেই যেন লুকিয়ে থাকে অন্ধকার এবং একটা গা ছমছমে ভাব। এই দিন সন্ধ্যাবেলা চোদ্দ প্রদীপ দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, এ ছাড়া এই দিন চোদ্দ শাক খাওয়ার নিয়মও রয়েছে। কথিত রয়েছে, এই চোদ্দ প্রদীপ আমাদের পূর্বপুরুষ অর্থাৎ আমাদের চোদ্দ পুরুষদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই দিন বিশেষ কয়েকটা টোটকা রয়েছে যা করতে পারলে জীবন থেকে বিপদের আশঙ্কা কমে যায়।
টোটকা
১) এই দিন বাড়িতে চোদ্দ শাক খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই শাক আমাদের অবশ্যই খাওয়া উচিত।
২) এই দিন সন্ধ্যাবেলা চোদ্দ প্রদীপ দেওয়ার নিয়মও রয়েছে। তবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, বাড়ির ঠিক কোন কোন স্থানে প্রদীপ দিতে হবে। ঠাকুরঘরে অবশ্যই প্রদীপ দেবেন। বাড়ির তুলসীমঞ্চে প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির সদর দরজার দু’পাশে দুটো প্রদীপ দিতে হবে, তাতে একটা করে লবঙ্গ দিয়ে দেবেন। বাড়ির যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে অবশ্যই প্রদীপ দেবেন। এ ছাড়া ঘরের মূল দরজার মাঝখানে একটা মাটির প্রদীপে সামান্য গুড় দিয়ে জ্বালান। নিজের সৌভাগ্য বৃদ্ধি করতে এই দিন বাড়ির দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালুন।
৩) এই দিন যমরাজের পুজো করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৪) এই দিন সব সময় আলো জ্বালিয়ে রাখবেন, ঘর কোনও মতেই অন্ধকার রাখবেন না।
৫) সম্ভব হলে এই দিন সকাল এবং সন্ধ্যাবেলা গীতা পাঠ করুন।
৬) ভূত চতুর্দশীর দিন সকালবেলা একটা লাল কাপড়ে কিছুটা নুন এবং কালো সর্ষে নিয়ে ঠাকুরের স্থানে রেখে দিন। সন্ধ্যাবেলা সেই নুন এবং সর্ষে বাড়ির চারকোণে ছড়িয়ে দিন।
৭) বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি দূর করতে এই দিন সৈন্ধব লবন, নিমপাতা, কালো সর্ষে, লবঙ্গ এবং কর্পূর ধুনোর সঙ্গে মিশিয়ে বাড়িতে দিন।