আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলেই, অর্থাৎ চতুর্থ পদের শুরু থেকে তিন দিন অম্বুবাচী আচার বা ব্রত পালন করা হয়।
অম্বুবাচী হিন্দু ধর্মের একটি আচার বা ব্রত। শাস্ত্রমতে, ধরিত্রী মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন। পূর্ণ বয়স্কা মহিলা যেমন ঋতুকালের পরে সন্তান ধারণে সক্ষম হন, ধরিত্রী মাতাও অম্বুবাচীর পর শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। ধরিত্রী মাতা আমাদের সকলের জন্মদাত্রী। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এই সময় কৃষিকার্য বন্ধ রাখা হয়। জমিতে কোনও রকম লাঙ্গল চালানো, জমি খোঁড়া বা সমস্ত ধরনের কৃষি কাজ থেকে বিরত থাকা হয়।
সন্ন্যাসী এবং বিধবারা এই তিন দিন বিশেষ ভাবে পালন করে থাকেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিন দিন কোনও মাঙ্গলিক কাজ করা হয় না। এই তিন দিন কেটে গেলে মাঙ্গলিক কাজ বা চাষের কাজে কোনও বাধা থাকে না। এই তিন দিন বন্ধ রাখা হয় মন্দিরের দ্বার।
আরও পড়ুন: আষাঢ় মাসে জন্মানো ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট কেমন হয়
অম্বুবাচীর সময় অসমের কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসব পালন করা হয়। সতীপিঠের অন্যতম কামাক্ষ্যা মায়ের মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ। এই স্থানে দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল। অম্বুবাচীর এই তিন দিন এই মন্দিরে বিশেষ উৎসব পালন করা হয়। এই তিন দিন দেবীর মন্দির বন্ধ থাকলেও চতুর্থ দিনে দেবীর মন্দির সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
অম্বুবাচীতে ওড়িশাতেও বিশেষ উৎসব পালন করা হয়।
• ২২ জুন (৭ আষাঢ়) সকাল ৭টা ৫৪ মিনিটে অম্বুবাচী আরম্ভ।
• ২৫ জুন (১০ আষাঢ়) রাত ৮টা ১৮ মিনিটে অম্বুবাচী সমাপ্ত।