আধুনিক যুগে বড় বড় শহরে ব্যবসা বানিজ্য, অন্যান্য পেশায় ব্যস্ত জীবন থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এবং শহরের দূষণ থেকে কিছু সময়ের জন্য রেহাই পেতে গ্রাম্য পরিবেশে ফাঁকা নিরালায় সবুজায়ন করার ঝোঁক দেখা দিয়েছে। চারদিকে তরিতরকারির খেত, নানা রকম ফলের বাগান, গোরু-মহিষের গোয়াল, হাঁস-মুরগির পোলট্রি, মাঝখানে বাংলো ধরনের বসবাসের বাড়ি। কোনও কোনও খামার বাড়ি বা ফার্ম হাউসে পুকুর বা ছোট হ্রদও থাকে। যাতে থাকে সুইমিং পুলের ব্যবস্থা। অনেক ফার্ম হাউসই বর্তমানে হলিডে রির্সটে রুপান্তরিত হয়েছে।
এই সব ফার্ম হাউসের জন্যেও বাস্তুবিদ্যার কি নিয়ম পালন করা উচিতঃ—
১। ফার্ম হাউসের শৌচাগার উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে করা উচিত। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে শৌচাগার করতে হলে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের দিকটা ফাঁকা রেখে তবেই তা করতে হবে।
২। উত্তর-পূর্ব দিকে শৌচাগার না করাই ভাল।
৩। পূর্ব ও উত্তর দিকে বেশি খোলা বা জানালা করতে হবে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪। ফার্ম হাউসের পাশ দিয়ে নদী, খাল বা নালার গতিপথ উত্তর-পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকলে খুবই ভাল হবে। ছোট পাহাড় বা টিলা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে থাকলে তো কথাই নেই। খুবই শুভ।
বিঃ দ্রঃ – বাস্তুশাস্ত্রের কোন জাত নেই। বাস্তুশাস্ত্র হল স্থাপত্যের কলা ও বিঞ্জান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই। বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বকর্মা বলেছেন- এই শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।