মঙ্গল নবগ্রহের মধ্যে অন্যতম গ্রহ। এই গ্রহ এক একটি ঘরে এক এক রকম ফল দেয়। প্রথম ঘর শরীর স্বাস্থ্য, চতুর্থ ঘর সুখ, সপ্তম ঘর পতি/পত্নী সুখ, অষ্টম ঘর মৃত্যু এবং জীবনের আঘাত ও সঙ্কটের ইঙ্গিত দেয়। দ্বাদশ ঘর থেকে ব্যয়, ক্ষতি ইত্যাদির বিচার হয়। আপনার জন্ম লগ্ন যদি কন্যা হয়ে থাকে এবং আপনার জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গলের যদি লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশে হয়, তবে আপনাকে মাঙ্গলিক ধরা হবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনার ক্ষেত্রে মঙ্গলের অবস্থানের কী রকম ফল দিতে পারে:
প্রথম ঘর অর্থাৎ কন্যা রাশিতে যদি মঙ্গল স্থিত হয়, তবে জাতক জাগতিক সুখ কম পেলেও পরাক্রমী, পরিশ্রমী ও তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন হন। ব্যবসা করলে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়।
চতুর্থ ঘর অর্থাৎ ধনু রাশিতে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক সৌভাগ্যবান হন। প্রেমজ বিবাহের যোগ থাকে। তবে স্ত্রীর সঙ্গে পরবর্তীকালে অশান্তি হয়। ২৮ বছরের পরে বাড়ি, গাড়ির যোগ থাকে।
আরও পড়ুন: সিংহ লগ্নের মাঙ্গলিক দোষ ও তার সাধারণ প্রতিকার
সপ্তম ঘর মীন রাশিতে যদি মঙ্গল স্থিত হয়, তবে জাতক সমাজে প্রভূত সম্মান লাভ করলেও স্ত্রীসুখ থেকে বঞ্চিত থাকেন। ব্যবসা খুব ভাল হয় না।
অষ্টম ঘর অর্থাৎ মেষ রাশিতে মঙ্গল স্থিত হলে জাতকের আয় কম হয়। ধনহানি হয় ও পারিবারিক ও অন্যান্য অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন।
দ্বাদশ ঘর অর্থাৎ সিংহরাশিতে যদি মঙ্গল স্থিত হয় তবে জাতকের প্রচুর অধ্যবসায় থাকে, পরিশ্রমের দ্বারা ধনলাভ করেন। কিছুটা অসহিষ্ণু হন এঁরা।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি সাধারণ প্রতিকার:
১। মধু ও মেটে সিঁদুর নদীতে ভাসানো উপকারী।
২। অগ্রজ ও মাতুলের সেবা করা শুভ।
৩। হাতির দাঁতের তৈরি কোনও জিনিস ঘরে রাখা উচিত নয়।
৪। জাতকের স্ত্রীর লাল চুড়ি পরা শুভ।
৫। দক্ষিণ দরজাযুক্ত ঘরে থাকা উচিত নয়।
৬। হনুমানজিকে গুড় ও ছোলাভাজা ভোগ দিয়ে চালিশা পাঠ করা উচিত।