যাঁদের কুষ্টির প্রথম ঘরে মঙ্গলের অবস্থান, তাঁদের বৈবাহিক জীবন একেবারে ভাল যায় না। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদেরও আশঙ্কা থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই বিষয়ে লেখা একাধিক প্রাচীন পুঁথি অনুসারে, মঙ্গল প্রথম ঘরে থাকার অর্থ হল মানসিক চাপ এবং অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করুন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ।
এ বার জেনে নেওয়া যাক আপনার জন্ম লগ্ন যদি বৃশ্চিক হয়ে থাকে এবং আপনার জন্মকুণ্ডলীতে লগ্ন থেকে প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম আর দ্বাদশে মঙ্গলের অবস্থান হয়ে থাকে, তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার উপর কী প্রভাব বিস্তার করবে:
প্রথম ঘর অর্থাৎ বৃশ্চিক লগ্নেই যদি মঙ্গল স্থিত হয়, তবে জাতক শারীরিক ক্ষেত্রে অতি শক্তিশালী হন। ব্যবসায় ও জীবনে বাধাবিঘ্নের মধ্য দিয়ে সাফল্য লাভ করেন।
চতুর্থ ঘর অর্থাৎ মীনে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক পরিশ্রমের দ্বারা ধনোপার্জন করে। স্ত্রীর সঙ্গে মতভেদ সামান্য হলেও সুসম্পর্ক বজায় থাকে।
সপ্তম ঘর অর্থাৎ বৃষ রাশিতে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক শারীরিক শক্তিধর হন কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে অসুখী হন। জাতক জীবনের ক্ষেত্রে লাভবান কমই হন।
আরও পড়ুন: কন্যা লগ্নের মাঙ্গলিক দোষ ও তার সাধারণ প্রতিকার
অষ্টম ঘর অর্থাৎ মিথুন রাশিতে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক প্রচুর রোজগার করেন এবং আকর্ষক ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। এঁরা বিভিন্ন ধরনের পেটের রোগে কষ্ট পান।
দ্বাদশ ঘর অর্থাৎ তুলায় যদি মঙ্গল স্থিত হয় তবে জাতক দুর্বল স্বাস্থ্যের হন। বেহিসাবী খরচ করেন ও সঞ্চয় করা সম্ভব না হতেও পারে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক বৃশ্চিক লগ্নের মাঙ্গলিক দোষের কয়েকটি সাধারণ প্রতিকার:
১। রোজ মধু খাওয়া উপকারী।
২। তিন ধাতুর আংটি বানিয়ে পরা শুভ।
৩। হনুমান চালিশা রোজ পাঠ করা শুভ।
৪। মধু ও সিন্দুর নদীতে ভাসানো ভাল।
৫। দান নেওয়া উচিত নয়।
৬। জোড়া নেই এমন রূপার আংটি পরা শুভ।