জন্মকুণ্ডলীর প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানের মধ্যে যে কোনও একটিতে যদি মঙ্গল অবস্থান করে, তবে সেই জাতক বা জাতিকাকে মাঙ্গলিক বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এটাকে বলা হয় ভৌম দোষ। আপনি কি জানেন, মঙ্গলের দশা জীবন ছারখার করে দিতে পারে! এই দশা থাকলে বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের আশঙ্কা প্রবল হয়।
মঙ্গল গ্রহের কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের জন্য জাতক-জাতিকার জীবনে ভিন্ন ভিন্ন ভয়ানক সমস্যার সৃষ্টি হয়।আপনার জন্মকুণ্ডলীতে (মীন লগ্নের ক্ষেত্রে) মঙ্গল গ্রহের ভিন্ন অবস্থানের কারণে মাঙ্গলিক দোষের প্রকারভেদ দেখে নিন:
মীন লগ্নের প্রথম ঘরে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক ধনী হন। পরিবার দ্বারা গর্বিত এবং সুখশান্তি লাভ করেন। শারীরিক ভাবে অত্যন্ত কর্মঠ, বলশালী হন এবং সমাজে সম্মাননীয় হন।
চতুর্থ ঘর অর্থাৎ মিথুনে মঙ্গল স্থিত হলে সব রকম সুখ লাভ করেন এবং জাতক ভাগ্যবান হন। স্ত্রীসুখে সুখী হন।
আরও পড়ুন: কুম্ভ লগ্নের মাঙ্গলিক ও তার সাধারণ প্রতিকার
সপ্তম ঘর অর্থাৎ কন্যায় মঙ্গল থাকলে জাতক ভাগ্যবান ও সব কাজে সফল হন। স্ত্রীর দ্বারা সুখ লাভ করেন।
অষ্টম ঘর অর্থাৎ তুলায় মঙ্গল স্থিত হলে ভাইদের দ্বারা অশান্তি ভোগ করেন, ভাগ্য ভাল হয় না। সমাজে সম্মান পান না।
দ্বাদশ ঘর অর্থাৎ কুম্ভে মঙ্গল স্থিত হলে অশুভ ফল হয়। পারিবারিক অশান্তি ও সব কাজে বাধা থাকে। জাতক কঠিন পরিশ্রমে সাফল্য পান।
জেনে নেওয়া যাক অশুভ ফলের ক্ষেত্রে কয়েকটি সাধারণ প্রতিকার:
১। সর্বদা লাল রুমাল নিজের কাছে রাখা শুভ।
২। জলে গুড় মিশিয়ে তামার পাত্রে সূর্যার্ঘ্য দেওয়া শুভ।
৩। মঙ্গলবার উপবাস বা নিরামিষ খাওয়া উচিত।
৪। সকালে উঠে মধু সেবন করা শুভ।
৫। হনুমানজিকে সিঁদুর ও লাড্ডু অর্পণ করা শুভ।