জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গলগ্রহের অবস্থানের উপর মাঙ্গলিক দোষ নির্ভর করে। আপনার জন্মলগ্ন যদি সিংহ হয়ে থাকে এবং আপনার জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গলের অবস্থান লগ্ন চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশে হয় তবে আপনাকে মাঙ্গলিক ধরা হবে। মঙ্গলের অবস্থান ভেদে কিছু স্বাভাবিক ফলাফল আছে। যেমন, প্রথম ভাবে মঙ্গলের দৃষ্টি থাকলে জাতকের স্বাস্থ্য ভাল যায় না, স্বভাবে উগ্রতা আসে। চতুর্থ ভাবে মঙ্গলের প্রভাবে মায়ের শরীর খারাপ, বাড়িতে অসুস্থতা লেগেই থাকে। সপ্তমে মঙ্গলের প্রভাবে বিবাহিত জীবন সুখের হয় না, অশান্তি লেগেই থাকে। ব্যবসায় উন্নতি হয় না আর। অষ্টমে মঙ্গলের প্রভাবে আইনি ঝামেলা বৃদ্ধি পায়। আর দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে জাতক বা জাতিকার মানসিক দুশ্চিন্তা, টেনশন বেড়ে যায়।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক আপনার ক্ষেত্রে মঙ্গলের অবস্থানের কী প্রকার ফলাফল পেতে পারেন—
যদি লগ্নে অর্থাৎ সিংহে মঙ্গল স্থিত হয় তবে জাতক ভাগ্যশালী ও ধার্মিক হয়। পরিশ্রমের দ্বারা সাফল্য লাভ হয়। জাতক জমি, বাড়ি, গাড়ি দ্বারা পার্থিব সুখ পায়। তবে ভাগ্যে পত্নীসুখ হয় না।
চতুর্থে অর্থাৎ বৃশ্চিকে মঙ্গল স্থিত হলে জাতকের বিষয়গঠিত মামলা নিয়ে জেরবার হয়। ভাল আয় হয়। পিতার দিক থেকে লাভবান হয়।
সপ্তম ঘরে মঙ্গল স্থিত থাকলে জাতকের ব্যবসাক্ষেত্রে প্রতিকূলতা থাকলেও প্রভূত উন্নতিরও যোগ থাকে। দাম্পত্য সুখ, পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। জাতকের পিতার সঙ্গেও খুব একটা মনের মিল হয় না। গুপ্ত রোগ হতে পারে। জাতক নিজে কিন্তু আকর্ষক ব্যক্তিত্বের হয়।
সিংহ লগ্নের অষ্টম স্থান মীন। এই ঘরে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক ধার্মিক হয়। জীবন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে চলে। ভাগ্য অর্থক্ষেত্রে মোটামুটি হলেও সঞ্চয়যোগ খুব একটা থাকে না।
দ্বাদশ ঘর হল কর্কট। এই ঘরে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক ভাগ্যহীন, রাগী, অধার্মিক, খরুচে ও ঝগড়ুটে হয়। স্ত্রী সুখ পায় না। তবে ব্যবসায়ে উন্নতি হয়, ধনহানির যোগ দৃষ্ট হয়।
আরও পড়ুন: মিথুন লগ্নের মাঙ্গলিক দোষ ও তার সাধারণ প্রতিকার
আসুন, জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি সাধারণ প্রতিকার—
১। সর্বদা লাল রুমাল ব্যবহার করা শুভ।
২। মিথ্যা কথা কারও প্ররোচনাতে বলা উচিত নয়, বিশেষ করে মামলা মোকদ্দমায় মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়া উচিত।
৩। মায়ের সেবা করা উচিত।
৪। বাড়ির চৌহদ্দিতে নিমগাছ লাগানো শুভ ফলদায়ক।
৫। দান নেওয়া উচিত নয়।