অনেকে ব্যবসার জন্য অথবা অন্য কোনও কারণে টাকা ধার দিয়ে থাকেন। পরে সেই টাকা ফেরত পেতে নাজেহাল হতে হয়। অনেক সময় অহেতুক অপমানিতও হতে হয়।
এই ধরনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা গণেশজির সাধনার পর তাগাদা করতে বেরোনোর আগে এখানে উল্লেখিত উপায়টি যদি করে যান, তবে অচিরেই সেই টাকা আদায় সম্ভব হবে এবং অহেতুক সম্মান খোয়াতে হবে না। তার আগে অবশ্যই আদায়কারিকে মহা শক্তিশালী ‘গণেশ রুদ্রাক্ষ’ ধারণ করতে হবে। ধারণের আগে রুদ্রাক্ষ শাস্ত্রমতে জাগ্রত ও শুদ্ধ করে এবং রাশি অনুযায়ী ইষ্টমন্ত্র অবশ্যই ১০৮ বার জপ করতে হবে।
টাকা আদায় করতে যাওয়ার আগে সদর দরজার বাম দিকে একটি তামার বা পিতলের ঘট আগেই জলপূর্ণ করে রাখুন। বাড়ির ভিতর থেকে বন্ধ সদর দরজার দিকে মুখ করে দাঁড়ালে আপনার বাম দিক হবে ওই সদর দরজার বাম দিক। এ বার বেরোনোর সময় একটি এক টাকার কয়েন ওই ঘটের মধ্যে ফেলে দিয়ে ‘ওঁ শ্রীগণেশায় নমঃ’ বলে ঘটটিকে প্রণাম করে রওনা দিন। টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিয়ে ফিরে এসে ওই ঘটের জল কোনও গাছের গোড়ায় দিয়ে দেবেন। কয়েনটি একটি লাল কাপড়ে মুড়ে রেখে দিন। কয়েনটি লাল কাপড়ে মুড়ে রাখার আগে গণেশ রুদ্রাক্ষটি স্পর্শ করিয়ে নিন।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত গোপন শত্রু? জেনে নিন সহজ প্রতিকার
ঘটটি ঠাকুরের আসনের কাছে রেখে দেবেন। প্রতি দিন সকালে স্নান করে গণেশজীর মন্ত্র পাঠ করে ওঠার পড়ে ওই ঘটটি জল দিয়ে পূর্ণ করবেন এবং তাতে একটি করে এক টাকার কয়েন রাখবেন। পরের দিন ঘটের জল পাল্টাবেন এবং কয়েনটি তুলে ওই লাল কাপড়ে এক সঙ্গে মুড়ে নেবেন। এই ভাবে প্রতি দিন ঘটের জল পাল্টাবেন এবং কয়েনটি গণেশ রুদ্রাক্ষে স্পর্শ করিয়ে ওই লাল কাপড়ে এক সঙ্গে মুড়ে রাখবেন। ঘটটি ঠাকুরের আসনের কাছে রেখে দেবেন। এই ভাবে পর পর ৪৩ দিন করতে থাকবেন। ৪৩ দিন পরে ওই লাল কাপড়ে বাঁধা কয়েনগুলো গরিব মানুষদের মধ্যে দান করে দেবেন। দেখবেন অচিরেই আপনি আপনার টাকা আদায় করতে পেরেছেন এবং আপনার সন্মান সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।