সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা এই পন্থা অবলম্বন করলে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। এর জন্য প্রয়োজন একটি রুমালের সাইজের সবুজ রঙের কাপড়, অল্প মৌলি সুতো, হাল্কা সবুজ রঙের গোটা মুগ ডাল এবং বটগাছের মূল বা ঝুরি। যে কোনও বুধবার থেকে এই উপায় শুরু করতে হবে। সে জন্য বুধবার যে কোনও বটগাছের তলায় যান এবং বটগাছের একটি মূল নিয়ে আসুন। কোনও লোহার তৈরি অস্ত্র, যেমন ছুরি ব্যবহার করবেন না। পারলে খালি হাতের সাহায্যে বা কাঠের তৈরি কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটুন। বড় বটগাছের মূল সহজে পাবেন না। সে ক্ষেত্রে বটগাছের ঝুরি নিয়ে আসুন। এই ঝুরি হাত দিয়ে ভেঙে নেবেন। এর পর বটবৃক্ষের উদ্দেশে বলবেন, আমি একটি উপায় করার জন্য এই বৃক্ষের একটি মূল বা ঝুরি নিয়ে যাচ্ছি। তার পর বটগাছের উদ্দেশে প্রণাম করবেন।
এখন জেনে নিন উপায়টি কী ভাবে কার্যকার করবেন:
সেই মূল বা ঝুরি প্রথমে জল এবং পরে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নেবেন। যে কোনও বুধবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ কাপড় পরে গায়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিজেকে এবং সামগ্রীগুলি শুদ্ধ করে নিয়ে ঠাকুরের সামনে বসুন। আগেই অবশ্য পাঁচটি সবুজ মুগ ডাল জলে সেদ্ধ করে নিন। তার পর বটগাছের মূল বা ঝুরিটি সবুজ কাপড়ে মুড়ে মৌলি সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। পুঁটুলিটি একটি ডিশের মধ্যে রেখে সেটি ইষ্ট দেবদেবী বা ঠাকুরের আসনে রাখুন। এর পর ওই পাঁচটি মুগ ডাল ডিশে নিন। ধূপ ও দীপ জ্বালান, মনের কষ্ট বলুন এবং পুঁটুলিটিকে ধুপ ও দীপ দেখান।
জিনিসগুলো ওই ভাবেই রেখে দিন। পরের দিন থেকে পাঁচটি করে সবুজ মুগ ডাল সিদ্ধ করে নেবেন এবং ওই ডিশে দিয়ে দেবেন। ধূপ-দীপ দেখান ও মনের কষ্টের কথা বলুন। আগের দিন রাখা পাঁচটি মুগ ডাল তুলে নিয়ে একটি প্লাস্টিকে রেখে দেবেন। ফলে পুরনো সিদ্ধ মুগ ডাল থেকে গন্ধ ছড়াবে না। এই ভাবে প্রতি দিন পাঁচটি করে নতুন সবুজ মুগ ডাল সিদ্ধ করে দেবেন এবং ধুপ-দীপ দেখাবেন ও মনের কষ্ট বলবেন।
আরও পড়ুন: টিকটিকি কী ভাবে ভাগ্যের শুভ বা অশুভ বার্তা বয়ে আনে
ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে মহিলারা এই কাজটি করবেন না।
সব মিলিয়ে ২৩ দিন এই ব্যবস্থা করতে হবে। ২৪ দিনের মাথায় সবুজ কাপড়ের পুঁটুলিতে রাখা বটের মূল বা ঝুরি এবং প্লাস্টিকে রাখা মুগডাল নদীতে বা পুকুরে বির্সজন দিয়ে দেবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রয়োজন অনুসারে এই উপায় তিন মাস, ছয় মাস অথবা এক বছর পরে আবার করতে পারেন।