এ বছর যারা সন্তানদের হাতেখড়ি বা বিদ্যা আরম্ভের জন্য মনস্থির করেছেন, তারা জেনে নিন কী করবেন, কী করবেন না।
১। প্রথমত জেনে নেওয়া উচিত, যে শিশুটির হাতেখড়ি হবে, তার রাশিচক্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনটি তার নিজের জন্য শুভ কি না।
২। যে সময়ে হাতেখড়ি দেওয়া হবে, সেই সময়ে শুভ ক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে তো? উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা উচিত।
৩। প্রধানত শ্রীশ্রী মা সরস্বতীর পুজোর পর ঠাকুরমশাই অ, আ, ক, খ লিখিয়ে শিশুর হাতেখড়ি দিয়ে থাকেন। তবে এই নিয়মটি সঠিক নয়। কেননা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ গুরু তার মা। সে পশু পাখিই হোক বা মানুষ। শিশুর হাতেখড়ি বা বিদ্যা আরম্ভ তার মায়ের হাতেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে শিশুর মেধা বৃদ্ধি ঘটে থকে এবং সর্বক্ষেত্রে সে সফল হয়ে থাকে। অবশ্য শিশুটির মা যদি না থাকেন, তা হলে তার বাবা এই কাজ করতে পারেন। যদি শিশুর মা কোনও ভাবে অসুস্থ বা দেহ অপবিত্র হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তা হলে শিশু তার মামার দ্বারাই হাতেখড়ি নেবে। অবশ্যই ঠাকুরমশাইয়ের উপস্থিতিতে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পর এবং এই ক্রিয়া করার আগে মাঘী শুক্লা চতুর্থীতে সিদ্ধিদাতা শ্রীশ্রীগণেশের পূজা সম্পন্ন করে তার আশীর্বাদ-সহ অনুমতি নেওয়া অবশ্যই বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: এ বার সরস্বতী পুজো দু’দিন, জেনে নিন নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি
৪। যদি শিশুর মামা না থাকেন, তা হলে শিশুর মা কোনও ব্যক্তিকে ভ্রাতৃজ্ঞানে মাঘী অমাবস্যার পর শুক্লা দ্বিতীয়ার শুভক্ষণে ভাইফোঁটা দিয়ে তাঁকে ভাই ডেকে তাঁর দ্বারাও শিশুর হাতেখড়ি দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রেও সিদ্ধিদাতা শ্রীশ্রীগণেশের পূজা-সহ অনুমতি নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
৫। মা, বাবা বা মামা— যাঁর দ্বারাই হাতখড়ি হোক না কেন সকলেই নিয়ম নিষ্ঠা মেনে সিদ্ধিদাতা শ্রীশ্রীগণেশের পূজার পর শ্রীপঞ্চমীতে বিদ্যার দেবী শ্রীশ্রী মা সরস্বতী সহ জগৎপিতা শ্রীশ্রী ব্রহ্মার পুজো এবং পুষ্পাঞ্জলির পর ঠাকুরমশাইয়ের উপস্থিতিতেই সর্বপ্রথম অ, আ, ক, খ বা এ, বি, সি, ডি এবং ‘হ্রীং সরস্বতী দেব্যৈ নমঃ’ লিখিয়ে শিশুর হাতেখড়ি দেওয়া উচিত। এতে শিশুটি যেমন মেধাবী হয়, ঠিক তেমনই উচ্চশিক্ষিতও হয়ে থাকে।