যাদের মানিকোড ৩ (তিন):
৩ (তিন) যাদের মানিকোড তারা খুব সহজেই অর্থ রোজগার করে থাকেন। পাশ্চাত্য সংখ্যাতত্ত্ব, হিব্রু সংখ্যাতত্ত্ব, হিন্দু সংখ্যাতত্ত্ব ও চৈনিক সংখ্যাতত্ত্ব— সবার কাছেই ‘৩’ অর্থ আয়ের দিক থেকে ১ থেকে ৯-এর মধ্যে সব থেকে বলিষ্ঠ সংখ্যা।
টাকাপয়সা লেনদেনের দিক থেকে তিন ফিগারের ব্যাঙ্ক নোট সব সময় শুভ ফল দিয়ে থাকে। সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে আর অর্থ জমানোর দিক থেকে ৪ যেমন স্থায়িত্বের সংখ্যা, ঠিক একই ভাবে ৩ শুধু স্থায়িত্বের সংখ্যা নয়, সেই সঙ্গে আবার উন্নতির সংখ্যাও।
যাঁদের মানিকোড ৩, তাঁরা ৩ ফিগারের নোট সব সময় মানিব্যাগে রাখবেন, ভারতে ৩ ফিগারের নোট না থাকায় বিদেশের ৩ ফিগারের কারেন্সি নোট যদি পাওয়া যায় তবে সংগ্রহ করে মানি ব্যাগে রাখতে পারলে বিশেষ শুভ ফল পাবেন।
আপনি যদি অর্থ লেনদেন করেন, সেখানে যদি ৩ ফিগারের লেনদেন হয়, অর্থাৎ ৩ টাকা, ৩০ টাকা, ৩০০ টাকা, ৩০০০ টাকা, ২০১ টাকা, ৫০০৭ টাকা বা ৩ লক্ষ টাকার, তা হলে খুব শুভ, এই সব লেনদেন ব্যবসার ক্ষেত্রে ভাল রিটার্ন দিয়ে থাকেন।
আপনি যদি শেয়ার বা ফাটকায় টাকা খাটান তবে সব সময় চেষ্টা করবেন তিন ফিগারের টাকা খাটাতে, এতে ক্ষতি তো হবেই না, বরং রিটার্ন পাবেন উপযুক্ত মাত্রায়।
যাঁদের মানিকোড ৩ হয়ে থাকে তাঁরা মনের দিক থেকে বেশ উদার প্রকৃতির। এঁদের মধ্যে পরোপকারী ভাব থাকে বিশেষ করে অর্থের দিক থেকে।
যাঁদের মানি কোড ৪ (চার):
যাঁরা ৪ মানিকোডের অধিকারে জন্মেছেন, এর অর্থ এই সংখ্যা আর্থিক স্থায়িত্বের, উন্নতি ও বেঁচে থাকার জন্য যে অর্থের জোগান দরকার তা সব সময়, সব অবস্থায় পেয়ে যাবেন।
যদি আপনার জন্মতারিখের বা লাইফপাথ নম্বর ৪ হয়ে থাকে, তা হলে বলা যায় আপনি কী ভাবে অর্থ রোজগার করবেন তা আপনি জানেন, তার থেকেও বড় কথা, কী ভাবে অর্থ খরচ করতে হয় সেটা আপনি ভাল ভাবেই জানেন।
জীবনকে উন্নত অবস্থায় রাখতে হলে এই চার সংখ্যার লোকেরা আয়ের জন্য নানা ধরনের পথ অবলম্বন করে থাকেন। এঁরা যে ভাবে অর্থ আয় করেন তার মধ্যে বেশ কিছুটা কষ্ট ও পরিশ্রম থাকবেই। যেটা ৩ সংখ্যার ক্ষেত্রে সে ভাবে ঘটে না। অর্থ আয়ের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে বেশ অনিশ্চয়তাও কাজ করে।
আপনার যদি ৪ মানিকোডে জন্ম হয়ে থাকে, তবে আপনার মানি ব্যাগে ৪ ফিগারের ব্যাঙ্ক নোট রাখতে পারলে ভাল হয়। তবে ভারতবর্ষের কারেন্সি নোটে তা পাওয়া যায় না, বিদেশি মুদ্রায় পাওয়া যায়। জোগাড় করতে পারলে মানিব্যাগে রাখবেন। এতে আর্থিক স্বচ্ছলতা সব সময় একই থাকবে।
আর একটি কথা, কোনও বিলের টাকা শোধ করতে হলে তা কখনও অন্যকে দিয়ে করাবেন না। যেমন, ইলেক্ট্রিক বিল বা যে কোনও আর্থিক বিল। তা নিজে গিয়ে পরিশোধ করবেন। এর গুহ্যতত্ত্ব খুব গভীরে নিহিত আছে।
আরও পড়ুন: আপনার মানিকোড জেনে নিন (প্রথম অংশ)
যাদের মানিকোড ৫(পাঁচ): প্রথম অংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
যাঁদের মানিকোড ৬ (ছয়):
আপনার যদি ৬-এর মানিকোডে জন্ম হয়ে থাকে, তবে জেনে নিন এই সংখ্যাও স্থায়ী আয়ের নির্দেশক। নিউম্যারোলজিতে ৩, ৬ ও ৯ যত সহজ ভাবে অর্থ রোজগার করে আর কোনও সংখ্যা সে ভাবে করতে পারে না, বলা যেতে পারে ঈশ্বরপ্রদত্ত এই ক্ষমতা আপনারা পেয়েছেন।
৬ আপনার জন্মকোড হলে, আপনার সব থেকে বড় বৈশিষ্ট, আপনি ভেবেচিন্তে অর্থ খরচ করেন। আপনি ব্যয়বহুল কোনও জিনিস বড় একটা কেনেন না, আপনি যা-ই করুন, সংসারের সবার দিকে ভেবেচিন্তে অর্থ খরচ করে থাকেন।
আপনি ধার নিতেও ইতস্তত করেন, একই ভাবে ধার দিতেও। আপনি কোনও ধার করে থাকলে বেতন পেলে সবার আগে সেটা শোধ করে থাকেন, তার পর সংসারের অন্য খরচ সারেন।
আর একটি জিনিস, আয় আপনি যা-ই করুন না কেন, আপনি এমন কোনও আর্থিক আয়ে নিজেকে জড়াবেন না যাতে আপনার আধ্যাত্মিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সারা জীবন আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা ধরে রাখতে, আপনার মানিব্যাগে ৩টি ব্যাঙ্ক নোট, যেমন তিনটি ১০০ টাকার নোট, বা তিনটি ২০০ টাকার নোট সব সময় রেখে দেবেন। এতে আপনার আর্থিক ক্ষতি কেউ কোনও দিন করতে পারবে না।
এই ৬-এর কোডে জন্ম হলে, আপনি পূর্বজন্মের পারিবারিক ঋণ নিয়ে জন্মেছেন। তা আপনাকে শোধ করতে হবে, বিশেষ করে সংসারে অন্যদের প্রতিপালন। এই ঋণ তাঁদেরও বহন করতে হয় যাঁদের জন্মতারিখ বা লাইফপাথ নম্বর ৬ (ছয়)।
(ক্রমশ)