এই রেখাটি সাধারণত তর্জনীর নীচে বৃহস্পতির ক্ষেত্র থেকে শুরু করে কনিষ্ঠার মূল দেশ পর্যন্ত এগিয়ে যায়। হৃদয়রেখা গভীর সুস্পষ্ট এবং উজ্জ্বল হওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রে হৃদয়রেখা রবির স্থানে এসে থেমে যায়। এই রেখা পাঁচটি জায়গা থেকে বের হতে পারে—
১) বৃহস্পতির ক্ষেত্রের উপর থেকে।
২) এই ক্ষেত্রের মাঝামাঝি থেকে।
৩) তর্জনী এবং মধ্যমার মাঝামাঝি থেকে।
৪) শনির ক্ষেত্রের উপরিভাগ থেকে।
৫) শনির ক্ষেত্রের নীচ থেকে।
যদি কোনও জাতকের হৃদয়রেখা শিরোরেখার দিকে ঝুঁকে থাকে, তবে সেই জাতক অত্যন্ত চতুর, কর্মঠ ও বাস্তববাদী হয়।
এই রেখা যদি শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, তা হলে সেই পুরুষ প্রেমের ব্যাপারে স্বার্থপর হয়। প্রেমের জন্য সে যথা সর্বস্ব ত্যাগ পর্যন্ত করতে পারে। এরা দাতা, পরের দুঃখে কাতর, সমাজ-সংস্কারক এবং নানা প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারে।
আরও পড়ুন: মাঙ্গলিক যোগ মানেই কিন্তু মাঙ্গলিক দোষ হয় না
তর্জনীর একেবারে মূল দেশ থেকে হৃদয়রেখা উত্থিত হলে, তা গভীর প্রেমের সুচনা করে। এমন রেখা বিশিষ্ট স্ত্রী-পুরুষ গভীর প্রেমরোগে সংলগ্ন থাকে। এরা নিজেদের দোষ ত্রুতি দেখতে পায় না।
শনির ক্ষেত্রের নীচ দিক থেকে উত্থিত হলে এরা নিজেদের নিয়ে তৃপ্ত থাকে। আত্মকেন্দ্রিক হয় ও স্বজনপোষণ করে থাকে। তবে এরা নিজের ভাল সবার আগে চায়।
কোনও কোনও স্ত্রী-পুরুষের হৃদয়রেখায় অনেক ছোট হয় ও নীচের দিক থেকে আসতে দেখা যায়। এমন রেখার অধিকারী পুরুষের অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেমে বাধা পড়ে। এদের প্রেম স্থায়ী হয় না। এমন জাতকের মনোভাব জানতে পারা কিংবা তাঁর হৃদয়কে আকর্ষণ করা খুব কঠিন।