—প্রতীকী ছবি।
তর্পণ কী? পূর্বপুরুষ, ঋষি, পিতামাতা এবং গুরুর উদ্দেশে খাবার ও জল নিবেদন করে তাঁদের তুষ্ট করাই হল তর্পণ (বিভিন্ন তর্পণে বিভিন্ন রীতি বা প্রক্রিয়া পালন করা হয়)।
কেন তর্পণ করা হয়? পুরাণে বলা হয়েছে পিতৃপুরুষ তুষ্ট হলে, তাঁদের আশীর্বাদে জীবন্ত দশায় দীর্ঘায়ু, ধনসম্পত্তি, জ্ঞান, শান্তি এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ ও মোক্ষ লাভ হয়। শাস্ত্রমতে পূর্বপুরুষের মৃত্যুর পরে তাঁদের শ্রাদ্ধ এবং জলদান করতে হয়। পূর্বপুরুষের মৃত্যুর তিথিতেই তর্পণ বা তাঁদের উদ্দেশে জলদান করতে হয়। তবে, সম্ভব না হলে পিতৃপক্ষের মৃত্যুর তিথিতেও এই কাজ করা যায়। পিতৃপক্ষের নির্দিষ্ট তিথিতে সম্ভব না হলে, পিতৃপক্ষের শেষ দিন অর্থাৎ অমাবস্যায় এই কাজ করা শুভ বলে মনে করা হয় (অমাবস্যা তিথি প্রেত কর্মের জন্য শুভ)।
আগামী ২ অক্টোবর, বুধবার পিতৃপক্ষের শেষ দিন এবং দেবীপক্ষের সূচনাকাল।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে-
অমাবস্যা তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ১৫ আশ্বিন, মঙ্গলবার।
ইংরেজি– ১ অক্টোবর, মঙ্গলবার।
সময়– রাত ৯টা ৪১ মিনিট।
অমাবস্যা তিথি শেষ–
বাংলা– ১৬ আশ্বিন, বুধবার।
ইংরেজি– ২ অক্টোবর, বুধবার।
সময়– রাত ১২টা ১৯ মিনিট।
গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা মতে–
অমাবস্যা তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ১৪ আশ্বিন, মঙ্গলবার।
ইংরেজি– ১ অক্টোবর, মঙ্গলবার।
সময়– রাত ৯টা ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ড।
অমাবস্যা তিথি শেষ–
বাংলা– ১৫ আশ্বিন, বুধবার।
ইংরেজি– ২ অক্টোবর, বুধবার।
সময়– রাত ১১টা ৫ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড।
মহালয়া পার্বণ শ্রাদ্ধম।