দ্বিতীয় অধিপতি যদি তুঙ্গক্ষেত্রে, মূল ত্রিকোণে, মিত্রক্ষেত্রে বা শুভভাবে অথবা দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও একাদশে থাকে, তা হলে প্রচুর প্রাপ্তি ঘটে থাকে।
এখন জেনে নেওয়া যাক প্রাপ্তিযোগে (রাশি অনুযায়ী) বাধা কাটাবেন কী ভাবে:
মকর: প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী, হিসেবি, কাজের লোক হন এঁরা। বিশেষ সাংগঠনিক দক্ষতা, সহ্যশক্তি, ধৈর্য, একনিষ্ঠ স্বভাবের এঁদের অন্যতম গুণ।
লগ্নপতি শনির শুভ স্থিতি জাতকের জীবনে শুভ প্রভাব বিস্তার করে। বড় নেতা, এমনকি বিধায়ক, সাংসদ বা মন্ত্রী হওয়ার যোগও ঘটতে পারে। নিজের চেষ্টায় উন্নতি করেন এঁরা।
কর্মপ্রার্থীদের চাকরি হতে পারে। শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ডাক্তার, শিক্ষক, অধ্যাপকদের সামনে সুযোগ আসবে। কোনও বন্ধুকে সহজ-সরল ভাবে না নেওয়াই ভাল।
ইষ্টনাম জপ, দক্ষিণাকালী স্তব পাঠ ও কবচ ধারণ ভাল। মহা মৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণও ভাল।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার প্রাপ্তিযোগ, বাধা ও তার প্রতিকার (তৃতীয় পর্ব)
কুম্ভ: স্মৃতিশক্তি প্রখর, উদারচেতা হন এঁরা। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থাকে এঁদের। এঁরা খুবই মিশুকে। পছন্দ-অপছন্দ জোরালো, একটু জেদি। বাছ-বিচার করে বন্ধুত্ব করেন। খুবই বুদ্ধিমান। এক লহমায় সামনের জনকে বুঝে ফেলেন। অনেক দিনের কোনও সমস্যার সমাধান হবে। ভাগ্য সহায় থাকে।
কর্মক্ষেত্র ও অর্থভাগ্য ভাল। অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থলাভ, চাকরি ক্ষেত্রে সুনাম ও প্রশংসা প্রাপ্তি। ৩৫ বছরের পর থেকে প্রাপ্তি। বন্ধু-বান্ধব দ্বারা উপকৃত হবে। অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রীর সাহায্যে হঠাৎ প্রাপ্তি হয়।
ইষ্টমন্ত্র জপে আশাতিরিক্ত উন্নতি হবে। দক্ষিণাকালী কবচ ও শিব কবচ ধারণ করলে ভাল ফল পাবেন।
মীন: দার্শনিক মনোভাবাপন্ন, আধ্যাত্মিক, কল্পনাপ্রবণ। সারাক্ষণ রঙিন স্বপ্ন দেখেন এঁরা। রোমান্টিক, সত্যবাদী, অপ্রিয় সত্য বলেন, লোকের বিপদে আপদে সাড়া দেন। নম্র ও ভদ্র স্বভাবের।
বিশেষ করে তৈল পদার্থ, মেডিসিন, রাসায়নিক ইত্যাদিতে প্রাপ্তি হবে। শনির শুভ অবস্থানে প্রাপ্তি ভাল হবে। বুধের নক্ষত্রের জাতক বা জাতিকাদের সরকারি সাহায্য, কাজের জন্য প্রশংসা জুটবে। বৃহস্পতির জাতক বা জাতিকা হওয়ার জন্য যে কোনও সম্মান প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকবে। উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোনও সৃত্রে ধনসম্পত্তি লাভের যোগ দৃষ্ট হয়।
ইষ্টমন্ত্র জপ, মা তারা স্তব বা কবচ, নবগ্রহ স্তব পাঠ ও কবচ ধারণ করলে আশাতিরিক্ত উন্নতির যোগ থাকে। প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হলে এগুলো প্রয়োগ করতে হবে।