টেনশন নানা কারণে হতে পারে। নিজের কারণে, অন্যের কারণে বা চারপাশের পরিস্থিতির কারণেও টেনশন হতে পারে। কিছু কিছু সময় আবার টেনশন কেন হচ্ছে বা এর জন্য দায়ী কে তা বুঝে ওঠা যায় না।
বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু টেনশনের জন্য বাস্তুদোষকেও দায়ী করছে। কারণ, আগে প্রায় সব ঘরই আয়তাকার হত। আবার ঘরের ভেতর বাথরুম, জলের ট্যাঙ্ক এসব কিছুই থাকত না। কিন্তু এখন ফ্ল্যাটের মধ্যে সব কিছুই থাকছে বাস্তু নিয়ম না মেনে। ফলে টেনশন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেনে নিন ঠিক কোন কোন বাস্তুদোষে টেনশন বাড়তে পারে—
আরও পড়ুন: বাড়িতে শাঁখ সঠিক নিয়মে রেখেছেন তো? না হলে বড় ক্ষতি হতে পারে
১) বাড়ির প্রধান দরজা যদি উত্তর দিকে হয় এবং বায়ু কোণে যদি ঘর তৈরি করা হয়, তা হলে বাড়ির কর্তার কোনও না কোনও কারণে অর্থ নষ্ট হয় এবং আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে নির্ধন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২) যদি বাড়ির ঈশান কোণ উঁচু হয় এবং ঈশান কোণের মাঝখানে যদি কুয়ো, বা কোনও গর্ত অথবা জলের ট্যাঙ্ক থাকে, তা হলে আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
৩) ঈশান কোণ ছোট এবং অগ্নিকোণ বড়ো হলে সংসারে অশান্তি ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
৪) জমির বায়ু কোণ উঁচু হলে অথবা উত্তর দিক ও বায়ু কোণের মাঝখানে ঘর তৈরি করলে বাস্তুদোষের ফলে শত্রু বৃদ্ধি পায় এবং বাড়ির কর্তা বার বার অসুস্থ হন।
৫) জমির দক্ষিণ দিক বা পশ্চিম দিকের এক ভাগ অথবা পশ্চিম দিকের সমস্ত জমি যদি নিচু হয়, তা হলে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে হয়। অর্থ কষ্ট লেগেই থাকে।
৬) যদি কোনও জমির পূর্ব দিক উঁচু বা নিচু হয় এবং পূর্ব দিকের দেওয়াল ঘেঁষে ঘর বা রাস্তা থাকে, তা হলে সেই বাড়ির সন্তানের জীবনে গভীর সঙ্কট তৈরি হয় এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা জীবনে বার বার অপমানিত হন।
৭) জমির উত্তর, পূর্ব কোণ নিচু এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ কোণ যদি উঁচু হয়, তা হলে সেই বাড়ির কন্যা সন্তানের ভাগ্যে সুখ শান্তির অভাব হয়, ফলে মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়।