—প্রতীকী ছবি।
২ অক্টোবর, অর্থাৎ আগামী কাল মহালয়া। কথিত আছে, এই দিন প্রয়াত পূর্বপুরুষেরা তাঁদের বর্তমান বংশধরদের হাতের জল নিতে মর্ত্যে নেমে আসেন। এই দিন থেকে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে পিণ্ডদান করা হয়।
তর্পণ করার উদ্দেশ্য কী বা কেন তর্পণ করা হয়
পুরাণ অনুযায়ী মানুষের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর তিন প্রকার ঋণ বর্তায়। সেগুলি হল পিতৃঋণ, দেবঋণ এবং ঋষিঋণ। তাঁর মধ্যে সবার উপরে হল পিতৃঋণ। এই পিতৃঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তর্পণ করা অত্যন্ত জরুরি। এই দিন প্রয়াত পূর্বপুরুষদের জল নিবেদন করা শুভ বলে মানা হয়, কারণ বংশধরদের হাতে জল পেয়ে তাঁরা তৃপ্ত হন এবং আশীর্বাদ করেন।
মহিলারা কী তর্পণ করতে পারেন?
সাধারণত পুত্রসন্তানেরাই তর্পণ করে থাকেন। তবে কোনও কোনও শাস্ত্রে মহিলাদের তর্পণ করার কথা বলা হয়েছে, বা মহিলারা তর্পণ করতে পারবেন না এটাও কোনও শাস্ত্রে লেখা নেই। যে ব্যক্তির পুত্রসন্তান নেই, সে ক্ষেত্রে কন্যাসন্তান তর্পণ করতে পারেন। আবার, পুত্র না থাকলে পুত্রবধূরাও তর্পণ করতে পারেন। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন যে কোনও ব্যক্তিই তর্পণ করতে পারেন। এমনকি অবিবাহিত ব্যক্তির উদ্দেশে তাঁর বোন তর্পণ করতে পারেন। তর্পণ করার অর্থ পূর্বপুরুষদের সম্মান জানানো, তাই এই কাজ করার অধিকারী মহিলারাও। কারণ, পূর্বপুরুষদের সম্মান সকলেই জানাতে পারেন।
তবে মনে করা হয়, যে তিল ও ভাতের মণ্ড দিয়ে পিণ্ডদান করা হয়, তা যদি কাকে খায়, তা হলে পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তিলাভ করে।