প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি তৈরির সময় আমরা অনেক বিষয়ে চিন্তা করে থাকি। যেমন অত্যাধুনিক পরিকল্পনা, চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য ইত্যাদি। এই সমস্ত বিষয়ে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমরা বাস্তুশাস্ত্রের কথা ভুলে গিয়ে বিভিন্ন বাস্তু বিরোধী নির্মাণ করে থাকি। যেমন বাস্তুর ব্রহ্ম স্থানে সিঁড়ি বা ভারী কিছু নির্মাণ করে থাকি যা কঠোর ভাবে বাস্তুশাস্ত্র বিরোধী।
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাস্তু জমির নীচে বাস্তু পুরুষের বাস। শাস্ত্র মতে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার থেকে মুনি ঋষিগণ বাস্তু সম্পর্কিত জ্ঞান প্রাপ্ত হন। মৎস্য পুরাণের বর্ণিত কাহিনি অবলম্বনে বাস্তু পুরুষ বাস্তু জমির নীচে উল্টে শয়ন করেন। উত্তর-পূর্বে বাস্তু পুরুষের মাথা, উত্তর-পশ্চিমে এবং দক্ষিণ-পূর্বে বাস্তু পুরুষের কনুই, বাস্তু পুরুষের হাঁটু কনুইয়ের সঙ্গে ছোঁয়ানো অবস্থায় থাকে।
দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পা এবং চরণ তল জোড়া অবস্থায় থাকে। বাস্তু পুরুষের নাভির অংশ বাস্তুর মধ্য স্থানে। নাভি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সৃষ্টির স্থান। এই কারণে বাস্তু পুরুষের নাভির স্থান সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মার স্থানের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই স্থান (বাস্তু পুরুষের নাভিস্থান বা ব্রহ্মস্থান) সর্বদা উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন। এই স্থানে কখনও সিঁড়ি বা ভারী নির্মাণ কাজ করা উচিত নয়। এমনকি বাস্তুর ব্রহ্মস্থান কোনও আসবাবপত্র দ্বারা বদ্ধ রাখাও উচিত নয়। ব্রহ্মস্থান সর্বদা উন্মুক্ত এবং পরিষ্কার রাখা উচিত। ব্রহ্মস্থানে সিঁড়ি বা ভারী নির্মাণ ভয়ঙ্কর বাস্তুদোষ সৃষ্টি করে। যা ওই বাস্তুর বাসিন্দাদের উন্নতি স্তব্ধ করে এবং বিভিন্ন জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে।