হাতের রেখায় বিন্দুচিহ্নের অবস্থান বিশেষ কিছু রোগের লক্ষণ। প্রতীকী ছবি।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে হাতের রেখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হাতের রেখায় বিশেষ কিছু চিহ্ন থাকে। এই চিহ্নগুলির আলাদা আলাদা প্রভাব রয়েছে। কোনওটি শুভ কোনওটি আবার অশুভ। সে রকমই একটি চিহ্ন হল বিন্দুচিহ্ন। বিন্দু চিহ্নের রং লাল, নীল, সাদা অথবা হলুদ হতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বিন্দুচিহ্ন এক ধরনের বিশেষ ত্রুটির লক্ষণ। যদিও বিন্দুচিহ্ন সচারচর লক্ষ্য করা যায় না। বিন্দুচিহ্ন আকার ও গভীরতার দিক থেকে নানা ধরনের হতে পারে। বিন্দুচিহ্ন একক ভাবে হাতের যে কোনও জায়গায় অথবা রেখার উপর দেখা যায়।
হস্তরেখার বিচারে বিন্দুচিহ্ন কী ইঙ্গিত দান করে?
রেখার উপর অবস্থিত বিন্দুচিহ্ন বিদ্যুৎ প্রবাহের গতিতে বাধা সৃষ্টি করে। যদি বিন্দুচিহ্ন বড় হয়, তবে বিরাট গর্ত সূচিত হয়। ফলে বিদ্যুৎ প্রবাহের গতি বিশেষ ভাবে ব্যাহত হয়ে থাকে। খুব ক্ষুদ্র ধরনের বিন্দুচিহ্ন তেমন ক্ষতিকারক নয়, সচারচর গুরুতর অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই ধরনের চিহ্ন দৃশ্যমান হয়। সাধারণত টাইফয়েড বা অন্য কোনও জ্বরে ভোগার পর এই চিহ্ন দেখা যায়।
শনি পর্বতের নীচে শিররেখার উপরে এই চিহ্ন অবস্থান করলে ব্যক্তিটি বাক্ এবং শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন। যদি বুধ রেখার উপর বিন্দুচিহ্ন থাকে তবে তা ব্যক্তির অন্ত্রের এবং স্নায়ুর গোলযোগে ভোগার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।
তবে বিন্দুচিহ্নটি যদি চতুষ্কোণ চিহ্নের অভ্যন্তরে থাকে, তবে ব্যক্তিটি বিন্দু চিহ্নগত ক্ষতি বা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে।