কী কারণে যমজ সন্তান হয় সেই সম্পর্কে জানার আগে আমাদের সন্তানের ক্ষেত্রে পুত্র বা কন্যা সন্তানকে একই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা দরকার।
ছেলে হোক বা মেয়ে, প্রত্যেক সন্তানকে সমান দৃষ্টিতেই দেখা উচিত৷ তাও যমজ সন্তানদের ক্ষেত্রে যেন ভালবাসার একটু বেশি কম থেকেই যায়। কিন্তু কেন হয় যমজ সন্তান? চিকিত্সা শাস্ত্রের নিজস্ব মত আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জ্যোতিষের মত কী? জেনে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কখন কোনও দম্পতির যমজ সন্তান হতে পারে:
১। মানুষের জীবনে প্রথম সন্তান বিচার করা হয় পঞ্চম ভাব থেকে। যদি কোনও দম্পতির প্রথমে এক সন্তানের পর যমজ সন্তান হয়, সেই ক্ষেত্রে দেখতে হবে স্ত্রী জাতিকার সপ্তম ভাব ও তার অধিপতি গ্রহকে। সেই গ্রহের উপর অন্যান্য গ্রহের দৃষ্টিকেও দেখতে হবে।
২। মহিলাদের ক্ষেত্রে চন্দ্র এবং মঙ্গল ও পুরুষদের ক্ষেত্রে রবি ও শুক্র যদি নবাংশ ছকে একই স্থানে অবস্থান করে এবং বৃহস্পতি কেন্দ্রে অবস্থান করে তখন একজন জাতক জাতিকার যমজ সন্তান হয়।
৩। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একজন অপরাধী ও অপরজন বিচারক হয়। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দেখতে হবে সেই যমজ সন্তানদের গ্রহগত নক্ষত্র।
আরও পড়ুন: খুব সাবধান পকেটে এই জিনিস গুলো কখনো রাখবেন না, নিজের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে
৪। একজন জাতিকা যখন সহবাস করেন, তখন যদি তার জন্মলগ্ন অনুসারে গোচরে তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম বা একাদশ স্থানে চন্দ্র ও বুধ অবস্থান করে তখন সেই জাতিকার যমজ সন্তান হতে পারে।
৫। যখন বৃহস্পতি ও রবি গ্রহ নবাংশ ছকে একই সঙ্গে মিথুন রাশিতে অবস্থান করে এবং বুধ কোনও ভাবে সংযোগ স্থাপন করে তখন এক জনের যমজ পুত্র সন্তান হতে পারে।
৬। যখন বুধ গোচরে মিথুন রাশিতে অবস্থান করে তখন বুধ ধনু রাশিতে দৃষ্টি দেয়। সেই সময় যদি পঞ্চম ভাব বা ভাবাধিপতির সঙ্গে সেই বুধের সংযোগ স্থাপন হয় তখন যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৭। যমজ সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে বুধ গ্রহের প্রভাব খুব বেশি।